ইউক্রেনে সামরিক হামলার জেরে রাশিয়ার জাতীয় দল ও ক্লাব ফিফা এবং উয়েফার কোনো আসরে অংশ নিতে পারবে না। বিশ্ব ও ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা দুটি সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) যৌথ বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা চলবে।
এ নিষেধাজ্ঞার ফলে কাতার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফে খেলতে পারবে না রাশিয়ার ছেলেদের দল। ২০২২ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে পারবে না তাদের মেয়েরা। এর আগে ফিফা রাশিয়াকে পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত ও হোম ভেন্যুর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও এবার পুরোপুরি ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ফলে চলতি বছর নারী ইউরোতে অংশগ্রহণ করতে পারবে না রাশিয়া থেকে কোনো দল। শুধু তাই নয়, মার্চে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে পুরুষরা খেলতে পারবে না পোল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচ। কাতার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সূচি অনুযায়ী আগামী ২৪ মার্চ পোল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলার কথা ছিল রাশিয়ার। ম্যাচটি রাশিয়া জিতলে সেখানেই ২৯ মার্চ সুইডেন অথবা চেক রিপাবলিকের মুখোমুখি হতো তারা।
এর আগে ইউক্রেনে হামলার পর শুরুতে রাশিয়ায় বাছাইয়ের ম্যাচ আয়োজনের বিপক্ষে একযোগে অবস্থান নেয় পোল্যান্ড, সুইডেন ও চেক রিপাবলিক। পরে আরও কঠোর অবস্থান নিয়ে তিন দেশের ফুটবল ফেডারেশন জানিয়ে দেয়, রাশিয়ার বিপক্ষে খেলবে না তারা। এমনকি সেটা নিরপেক্ষ ভেন্যুতেও নয়।
অবশ্য ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা গত শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়া ও ইউক্রেনের ক্লাব ও জাতীয় দলকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের হোম ম্যাচগুলো ওই অঞ্চলের বাইরে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলার নির্দেশ দিয়েছিল।
ফিফার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, নিরপেক্ষ ভেন্যুতে রাশিয়া তাদের ম্যাচগুলো খেলবে। সেক্ষেত্রে তারা বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন শুধু জাতীয় সঙ্গীত ও পতাকা থেকে। তবে এবার ফুটবল থেকেই মুছে গেল রাশিয়ার নাম। তারাও নিশ্চিত করেছে, রাশিয়া ও বেলারুশ থেকে সকল অ্যাথলেটের অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি।
অন্যদিকে আইসল্যান্ডও ইতোমধ্যে জুনে রাশিয়ার সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। এছাড়া ইউরোপের একাধিক ফুটবল ইতোমধ্যে রাশিয়াকে বয়কট করেছে। বয়কট করেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিও।