বেসামরিক মানুষজনকে নিরাপদে সরে যেতে দেয়ার জন্য ইউক্রেনের দুটি শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। একে ‘হিউম্যানিটারিয়ান করিডোর’ বলে তারা বর্ণনা করেছে। মারিওপোলের মেয়র ভাদিম বোইচেঙ্কো বলেছেন, ”এখন যে অবস্থা চলছে, দখলকারীরা যেভাবে নিষ্ঠুর গোলাবর্ষণ করছে, তাতে শহরবাসীদের নিরাপদে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।”
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর ১০দিন পর এই প্রথম সাময়িক হলেও কোন শহরে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। পুরো ইউক্রেনের মধ্যে শুধু এই দুটি শহরের বাসিন্দারাই এই যুদ্ধবিরতির সুবিধা পাচ্ছেন। দেশটির অন্যান্য স্থানে লড়াই অব্যাহত রয়েছে।
যুদ্ধে কতজন বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়, কিন্তু জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, ২৪শে ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর প্রায় ১২ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। আরও কয়েক লাখ মানুষ এখন আশ্রয়ের সন্ধান করছেন।
কিয়েভ, খারকিভ লক্ষ্য করে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে। কিয়েভের দিকে এগিয়ে আসা বিশাল একটি রাশিয়ান সেনা বহর পথে থেমে রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী মারিওপোলে অবরুদ্ধ করে রেখেছে রাশিয়ার সৈন্যরা এবং আরেকটি বন্দর নগরী ওডেসার দিকে এগোচ্ছে। রাশিয়া এই দুটি শহর দখল করতে পারলে ইউক্রেন সমুদ্র যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
শুক্রবার কয়েকঘণ্টা ধরে গোলাবর্ষণের পর জেপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। এটি ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
সিঙ্গাপুর জানিয়েছে, ইউক্রেনে হামলা করার কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তারা নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছে। দেশটির জন্য এটি এক বিরল পদক্ষেপ।
রাশিয়ার দুইজন শীর্ষ ওলিগার্ক বা ধনকুবেরের দুটি ইয়ট বা প্রমোদতরী আটক করেছে ইতালির পুলিশ।
ব্রাসেলসে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শেষে নেটো মহাসচিব ইয়েন স্টলটেনবার্গ বলেছেন, দুঃখের সঙ্গে হলেও এই সামরিক জোট সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ইউক্রেনের আকাশে নো-ফ্লাই জোন করার পদক্ষেপ তারা নেবে না। নেটোর এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ফেসবুক নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া, টুইটার ও ইউটিউবে প্রবেশ সীমিত করে দিয়েছে