ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় নিহত বাংলাদেশি জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের লাশ দেশে পৌঁছেছে।
সোমবার দুপুর ১২টা ৭ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাদিসুরের লাশবাহী তুরস্ক এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি পৌঁছায়।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল আহসান লাশ আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হাদিসুরের নিথর দেহটি গ্রামের বাড়িতে নিতে বিমানবন্দরে এসেছেন তার স্বজনরা। লাশ গ্রহণের সময় সেখানে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, তার্কিশ এয়ারের টিকে৭২২ ফ্লাইটটি বুখারেস্ট থেকে প্রথমে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা ২৩ মিনিটে সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছে ফ্লাইটটি। দুপুর সোয়া ১২টায় শিডিউল থাকলেও সবকিছু ঠিক থাকলে ১৫ মিনিট আগেই ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করবে।
উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে গোলার আঘাতে বাংলাদেশী জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’র তৃতীয় প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান নিহত হন। পরিবারের দাবি ছিল, জীবিত না পেলেও যেন অন্তত লাশটি তারা পান। এরপরই হাদিসুরের লাশ ইউক্রেন থেকে উদ্ধার করে দেশে আনতে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেয়া হয়।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ ডেনিশ কোম্পানি ডেল্টা করপোরেশনের অধীনে ভাড়ায় চলছিল। মুম্বাই থেকে তুরস্ক হয়ে জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরে নোঙর করে। ওলভিয়া থেকে সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল জাহাজটির।
কিন্তু যুদ্ধ শুরু হলে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যত বন্দরে আটকা পড়ে জাহাজটি। ২ মার্চ একটি ক্ষেপণাস্ত্র জাহাজে আঘাত হানে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। হাদিসুর রহমান মারা যান। জাহাজের বাকি ২৮ নাবিক রোমানিয়া থেকে বুধবার দুপুরে ঢাকায় পৌঁছান।