টাইগারদের দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ওয়ানডে দল নিয়ে তামিম-সাকিবরা দক্ষিণ আফ্রিকা জয় করেছেন। ব্যাটে তিনশ’র বেশি রান, বল হাতে প্রোটিয়াদের অলআউট করে তুলে নিয়েছেন ৩৮ রানের দুর্দান্ত জয়। গড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের মাঠে যেকোন ফরম্যাটে প্রথম জয়ের কীর্তি।
টস হেরে তামিম ইকবাল ও লিটন দাস ব্যাটে নেমে শুরু করেন সাবধানী খেলা। তারা যোগ করেন ৯৫ রান।অধিনায়ক তামিম ফিরে যান ৪১ রান করে। তার সঙ্গী লিটন পরেই ৫০ রান করে বোল্ড হন। এরপর ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম (৯)। বাংলাদেশ ২৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায়।
দক্ষিণ আফ্রিকা যেতে না চাওয়া সাকিব ওই চাপ সামাল দেন। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে ইয়াসির রাব্বি ১১৫ রানের জুটি গড়েন। সাকিব ফিরে যাওয়ার আগে ৬৪ বলে সাতটি চার ও তিন ছক্কায় ৭৭ রান করেন। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ম্যাচে ৪৪ বলে প্রথম ফিফটি (৫০) তুলেই ফিরে যান ইয়াসির। শেষ দিকে আফিফ হোসেন ১৩ বলে ১৭, মাহমুদুল্লাহ ১৭ বলে ২৫ ও মেহেদি মিরাজ ১৩ বলে ১৯ রান করেন।
জবাব দিতে নেমে পেসার শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদের তোপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা ৩৬ রানে হারায় তিন উইকেট। দলীয় ১৮ রানে ওপেনার জানেমান ম্যালানকে সাজঘরে পাঠান শরিফুল। এরপর তাসকিন নবম ওভারে তুলে নেন কাইল ভারায়েনে (২১) ও এইডেন মার্করামকে (০)।
এরপর তিনে নামা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও পাঁচে নামা রেসি ভ্যান ডার ডুসন ৮৫ রানের দারুণ জুটি গড়েন। শরিফুল ইসলাম ৩১ রান করা বাভুমাকে ফিরিয়ে ওই জুটি ভাঙেন। ক্রিজে আসা ডেভিড মিলারকে নিয়ে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন ডুসন। তারা ৭০ রানের জুটি গড়েন। ম্যাচ তখন ভারসাম্যপূর্ণ।
এমন সময় নিজের শেষ ওভার করতে এসে দলের সেরা ব্রেক থ্র দেন তাসকিন। তিনি ফেরান ভ্যান ডার ডুসনকে। প্রোটিয়া ব্যাটার খেলেন ৯৮ বলে ৮৬ রানের দারুণ ইনিংস। নয়টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা তোলেন। তারপরও ভয় ধরাচ্ছিলেন ডেভিড মিলার।তিনি চার-ছক্কায় কাঁপন তুলছিলেন টাইগার ভক্তদের মনে। ৪৬তম ওভারে মিরাজ তাকে ফেরাতেই ম্যাচ টাইগারদের পকেটে চলে আসে।
ডেভিড মিলার খেলেন ৫৭ বলে তিনটি ছক্কা ও আটটি চারে ৭৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। শেষ পর্যন্ত সাত বল থাকতে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ দলের হয়ে তাসকিন নেন গুরুত্বপূর্ণ তিন উইকেট। শরিফুল দুই উইকেট দখল করেন। বল হাতে দলের গলার কাঁটা হয়ে উঠছিলেন মেহেদি মিরাজ। তিনিই শেষ পর্যন্ত ৯ ওভারে ৬১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।