ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লাভিভে রাশিয়ার রকেট হামলায় অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন। নগরীর বেশ কিছু অবকাঠামো গুঁড়িযে গেছে এতে। রকেট হামলায় বিধ্বস্ত ভবন থেকে কালো ধুয়া বের হচ্ছে— এমন ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
স্থানীয় সময় শনিবার এ হামলা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন পোল্যান্ড সফর করছিলেন ঠিক তখনই এ হামলা হলো। পোল্যান্ডের রাজধানী থেকে লাভিভের দূরত্ব মাত্র ৭২ কিলোমিটার।
লাভিভের আঞ্চলিক গভর্নর ম্যাক্সিম কোজিস্কি হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। প্রথম রকেট হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে ৫ জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। ঘণ্টাখানেক পর আরও তিনটি রকেট হামলা হয়।
লাভিভের মেয়র অ্যান্ড্রি সাদোভি বলেন, এটি দ্বিতীয় দফা রকেট হামলা। এই হামলায় অবকাঠামোর অনেক ক্ষতি হয়েছে।
মেয়র ৫ জন নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেন। তারা বেসামরিক কিনা সেটি নিশ্চিত করতে পারেননি মেয়র।
এদিকে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবনেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। ইউক্রেনীয় সৈন্যরা কিছু শহরকে রুশ দখলমুক্ত করার জন্য লড়াই করছে, অন্যদিকে উত্তর দিকে একটি শহরে রুশ সৈন্য প্রবেশ করেছে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন শহরের কাছে লড়াইয়ে লে. জেনারেল ইয়াকভ রেজানৎসেভ নামে আরেকজন উর্ধতন রুশ জেনারেল নিহত হয়েছেন বলে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এ নিয়ে ইউক্রেনের যুদ্ধে মোট সাতজন সিনিয়র রুশ জেনারেল নিহত হলেন।
উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলের গভর্নর বলছেন, সেখানে রুশ বাহিনীর ওপর ইউক্রেনীয় সৈন্যরা আক্রমণ চালিয়েছে। দিমিত্রি জিভিটস্কি জানান, সেখানে তীব্র লড়াই চলছে এবং ইউক্রেনীয়রা শিগগীরই বেশ কিছু শহর রুশ দখলমুক্ত করে নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে দক্ষিণের খারকিভ অঞ্চলের গভর্নর বলছেন, ইউক্রেনীয় সৈন্যরা মালা রোহান অঞ্চলের কয়েকটি শহর ও গ্রাম পুনর্দখল করেছে, এবং ইজিয়াম শহরের চারদিকে তাদের রক্ষণাত্মক অবস্থানগুলো ধরে রেখেছে।
রাজধানী কিয়েভে সোমবার সকাল পর্যন্ত আরো ৩৬ ঘন্টার কারফিউ জারি করা হয়েছে। অনেক সময় রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযান চালানোর সুবিধার জন্য এসব কারফিউ জারি করা হয়।
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এক মাস আগে সেদেশে রুশ অভিযান শুরু হবার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৩৬টি শিশু নিহত হয়েছে। ইউক্রেনের প্রধান কৌঁসুলির অফিস বলছে, এ যুদ্ধের সবশেষ শিকার ছিল একটি নয় বছরের শিশু – যে শুক্রবার দোনেৎস্কে গোলবর্ষণে নিহত হয়।
এ সংখ্যা কোন স্বাধীন সূত্র থেকে যাচাই করা না গেলেও বিবিসির একজন সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে বেশিই হতে পারে। কর্মকর্তারা বলছেন, এ লড়াইয়ে শত শত স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।