খালেদ আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের দাপুটে বোলিং এর মুখে ডারবান টেস্টে ৩৬৭ রানে থেমে গেল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দলের প্রথম ইনিংস।
বৃহস্পতিবার টসে জিতে প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। কিন্তু টেস্টের প্রথম দিনটা সে অর্থে নিজেদের করতে পারেননি টাইগাররা। ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২৩৩ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দিন শেষে অপরাজিত থাকেন টেম্বা বাভুমা (৫৩) ও কাইল ভেরিয়েন্ন (২৭)। দুজনের থিতু জয়ে যাওয়া জুটিতে বাড়ছিল বাংলাদেশের বিপদ।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে মাত্র ১২ রান যোগ করতেই জুটি ভেঙেছেন পেসার খালেদ আহমেদ। দ্বিতীয় দিনের ষষ্ঠতম ওভারে বল হাতে এসে দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন কাইল ভেরিয়েন্নেকে। ৮১ বলে ২৮ রান করা ভেরিয়েন্ন রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি।
ঠিক তার পরের বলে আবারো খালেদের আঘাত। নতুন ব্যাটসম্যান উইয়ান মাল্ডার বুঝেই উঠতে পারেননি খালেদের বল। লাফিয়ে ওঠা বল খেলতে গিয়ে গালিতে থাকা মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে তুলে দিয়ে বিদায় নেন শুন্য রানেই।
প্রায় শতকের কাছাকাছি টেম্বা বাভুমাকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। ৭ রানের আক্ষেপে পুড়ে ৯৩ রানে বিদায় নেন তিনি।
সব শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান কেশভ মহারাজ ১৯ রানে বিদায় নেন। এতে বড়ে সংগ্রহের স্বপ্নে ভাটা পড়ে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার।
৮ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রানের সংগ্রহ নিয়ে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষ করে প্রোটিয়ারা। লিজাড উইলিয়ামস ৬ এবং সিমন হারমার ৮ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় সেশনের খেলা করেন। তাদের আগের সেশনের অবিচ্ছেদ্য ১৬ রানের জুটি বেশি বাড়তে দেননি খালেদ আহমেদ। ১২ রানে থাকা উইলিয়ামসকে ফেরান দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে। তাতে অবশ্য ফিল্ডার জয়ের অবদান আছে ঢের। এই জুটি ভাঙে ৩৪ রানে।
৩৩২ রানে ৯ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা পরে সাড়ে তিন শ’ রানের কোটা পার করে লেজের দিকের দুই ব্যাটসম্যান হারমার আর ডুয়ানে অলিভিয়ারের ব্যাটে। শেষ দিকে বাংলাদেশ দলের জন্য অস্বস্তি হয়ে ওঠা দশম উইকেটে এই জুটি থেকে আসে ৩৪ রান। পরে অলভিয়ারকে ১২ রানে ফিরিয়ে প্রোটিয়াদের ইনিংস থামান মিরাজ। ৩৬৭ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস। ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন হারমার।
খালেদ আহমেদ ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। তার সাথে মিরাজ ৩টি এবং এবাদত নিয়েছেন ২ উইকেট।