ধৈর্যের খেলা টেষ্ট ক্রিকেটে ধৈর্য যতটা থাকা দরকার তা যে আছে জয়ের সে প্রমাণই দিলেন আরও একবার। এর প্রমাণ আগেও মিলেছে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে। যেখানে তার ব্যাটেই এসেছিল দারুণ এক ইনিংস। বাংলাদেশ জয় করেছিল নিউজিল্যান্ডের মাটি।
ডারবানের কিংসমিডে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই ২৬৯ বল খেলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ২১ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়। দলের অন্যদের ব্যর্থতার ভিড়ে একাই দলের আশা বাঁচিয়ে রেখেছেন তিনি। গত ২০ বছরে এই প্রথম কোন ব্যাটার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সেঞ্চুরি করতে পারেনি। সেই মাটিতে নিজের প্রথম ইনিংস খেলতে নেমেই জয় করলেন জয়।
সতীর্থরা যখন যাওয়া-আসার মিছিলে ব্যস্ত, তিনি তখন মাটি কামড়ে পড়ে থাকলেন চরম ধৈর্য নিয়ে। ১৭০ বলে ফিফটি করা জয় শতক স্পর্শ করেন ২৬৯ বলে। সেঞ্চুরির ইনিংসে জয় হাঁকিয়েছেন ১০টি চার ও ১টি ছক্কা। টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয় ম্যাচের মাথায় এসে সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন তিনি। সঙ্গত কারণে এটাই তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
তার ব্যাটেই বলতে গেলে এগুচ্ছে বাংলাদেশ। আগের দিনের ৪ উইকেটে ৯৮ রান নিয়ে শনিবার খেলতে নামে বাংলাদেশ। শুরুর দিকেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। উইলিয়ামসের বলে মাল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাংলাদেশ পেসার তাসকিন আহমেদ। ১০ বলে তিনি করেন ১ রান।
এরপর জয় ও লিটনের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। ১৭০ বলে ৫ চারে ফিফটি স্পর্শ করে জয়। তার সাথে বেশ সাবলীলভাবে এগিয়ে যেতে থাকেন লিটনও। দুজনের ৮২ রানের জুটির পর তাতে ভাঙন ধরান উইলিয়ামস। বোল্ড হয়ে যান লিটন দাস।
ফিফটির দেখা পেলেন না লিটন। ৯২ বলে তার সংগ্রহ ৪১ রান। এরপর জয়ের সাথে বেশ ভালো সঙ্গ দিচ্ছিলেন ইয়াসির আলী। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে ফেরেন তরুণ এই ব্যাটার। ৩৭ বলে তিনি করেন ২২ রান। ব্যাট হাতে বাংলাদেশের হয়ে লড়ছেন সেঞ্চুরি করা মাহমুদুল হাসান জয়। তার সাথে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা অল আউট হয় ৩৬৭ রানে। জবাবে ৭ উইকেটে বাংলাদেশের রান এখন ২৩৫।