দেশীয় উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত করতে দুধ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞ ও পাস্তুরিত তরল দুধ কোম্পানিগুলোর। তাদের হিসেবে ২ দিন দুধ বাজারজাত বন্ধ থাকায় একশো কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। কৃষি বিশ্লেষকরা বলছেন, যে কোন পণ্য পরীক্ষা করে প্রতিবেদন জনগণের সামনে উপস্থাপনের আগে পূর্ণাঙ্গ বিচার বিশ্লেষণ করা উচিত।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসেবে দেশে প্রতিদিন ২ কোটি ২০ লাখ লিটার দুধ উৎপাদন ও সরবরাহ করা হয়। শুধু ঢাকায় প্রতিদিন বিক্রি হয় ৭ থেকে ৮ লাখ লিটার। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খামারগুলো দুধের পাশাপাশি মাংসেরও বড় যোগানদাতা। হঠাৎ করেই আলোচনায় পাস্তুরিত তরল দুধ। একের পর এক পরীক্ষা। বিভ্রান্তি যেন কাটছেই না। শেষ পর্যন্ত আদালতের হস্তক্ষেপ। ১৪ কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ বিক্রি বন্ধের নির্দেশ। দু’দিন পর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত হলেও কোম্পানিগুলো বলছে, দু’দিনেই ক্ষতি ছাড়িয়েছে শত কোটির বেশি। আতঙ্কে হাজার হাজার খামার ।
কৃষি বিশ্লেষকরা বলছেন, ভুল বোঝাবুঝিতে দেশীয় শিল্প ক্ষতির মুখে পড়লে মাশুল দিতে হবে পুরো দেশকে। তাই যে কোন পণ্য যাচাইয়ে উপযুক্ত পরীক্ষাগারে পরীক্ষার পরামর্শ তাদের। দেশীয় খামারের সুরক্ষার পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করাও জরুরী। তাই সমন্বিতভাবে ক্রেতাদের জন্য সঠিক তথ্য সরবরাহের দাবি ক্যাবের।
সারাদেশে অন্তত এক কোটি মানুষ দুধের উৎপাদন ও বিপণন কাজে জড়িত। শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তাদের জীবন জীবিকায়।