পাকিস্তানে দুর্নীতির দায়ে দেশ থেকে বিতাড়িত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই ও মুসলিম লীগ (নওয়াজ) সভাপতি শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে পাকিস্তানে সরকার পরিবর্তনে বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে পাকিস্তান জুড়ে বিভিন্ন স্থানে লাখ লাখ মানুষ বিক্ষোভ করে চলেছেন। ব্যাপক এই বিক্ষোভকে বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম নজিরবিহীন বলে অভিহিত করেছে।
অন্যদিকে, গতকাল সোমবার পাকিস্তানের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) অন্য শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে দাখিল করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। উল্টো পিটিশনকারীর এক লাখ রুপি (পাকিস্তানি রুপি) জরিমানাও করা হয়েছে।
মূলত ক্ষমতা হারানো আগে বিরোধী দলীয় জোটের অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়টি জোরালো হওয়ার একটি একটি চিঠি প্রকাশ্যে আনেন ইমরান খান। তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র তার সরকারকে উৎখাত করতে ষড়যন্ত্র করেছে। সেই চিঠি তার প্রমাণ। তবে যুক্তরাষ্ট্র ইমরান খানের অভিযোগ অস্বীকার করে।
সেই চিঠি নিয়ে আদালতে মৌলভী ইকবাল হায়দার নামের একজন আদালতে একটি পিটিশন করেছিল। তবে সেটি খারিজ করে দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
পিটিশনকারী, ইমরান খান ও তার কয়েকজন মন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধেও তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। তাদের নাম এক্সিট কন্ট্রোল লিস্টে অন্তর্ভূক্তের দাবি জানিয়েছিলেন।
ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ বলেছেন, ‘তদন্ত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আপনি বিষয়টি আদালতে টেনে এনেছেন কেন?’
বিষয়টি নিয়ে আদালতের নির্দেশে বলা হয়, কোনো নাগরিকই নিজেকে অন্য নাগরিকের চেয়ে বেশি দেশপ্রেমিক দাবি করতে পারেন না। একইভাবে কোনো নাগরিকের অন্য নাগরিককে দেশদ্রোহী ঘোষণা করার অধিকারও নেই।
সুত্রঃ দ্য ডন।