বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি কোনও রাষ্ট্রের নাক গলানো আশা করে না সরকার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত মানবাধিকার রিপোর্টের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সরকার।
রবিবার ১৭ এপ্রিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্টের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘রিপোর্টটি বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ‘প্রপাগান্ডা মেশিন’ থেকে সংগ্রহ করা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে । রিপোর্টের অসঙ্গতিগুলো যাচাই-বাছাই করছে সরকার এবং এটি নিয়ে মার্কিন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে বাংলাদেশ।’
নিজের হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এই রিপোর্টে অনেক কিছু আছে যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না। এছাড়া মার্কিন রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়মুক্তি দেওয়া হচ্ছে এবং দুই-একটি জায়গায় শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
রিপোর্টে উল্লেখ সমকামিতার বৈধতা নিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি বলা হয়েছে। সমকামিতা একটি অপরাধ এবং এ কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এটি কখনও মেনে নিবে না। সামাজিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
৫০ বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে গত এক দশকে অনেক উন্নতি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শ্রম খাত। কিন্তু গোটা রিপোর্টে এ সম্পর্কে ভালো মন্তব্য নেই বলে জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোন ভালো প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা সরকার ভালো চোখে দেখবে না।
বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের মূলোৎপাটন করেছে কিন্তু এখানেও সমস্যা তৈরি হতে পারে। এ কারণে র্যাবের মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিন্দা না করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
এই রিপোর্টটি যাচাই-বাছাই করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে সরকার বলে জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।তিনি বলেন, আমরা তাদের কাছে জানতে চাইবো এই রিপোর্টে যে সমস্ত অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য এবং অন্যান্য তথ্য দেওয়া হয়েছে—সেগুলো কেনও দেওয়া হল এবং যেখানে কাজ করার সুযোগ রয়েছে সেখানে আমরা তাদের সঙ্গে যুক্ত হবো।