রাশিয়া বলছে, প্রতিবেশী দেশ ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের পদক্ষেপের জন্য ‘প্রতিশোধমূল্য ব্যবস্থা’ নিতে বাধ্য হবে মস্কো।
- দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ হুমকি দেওয়া হয়। খবর বিবিসি
রাশিয়ার বিবৃতিতে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার জন্য ফিনল্যান্ডের পদক্ষেপকে ‘দেশটির পররাষ্ট্র নীতির আমূল পরিবর্তন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
- এতে আরও বলা হয়, ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পদক্ষেপ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পাশাপাশি উত্তর ইউরোপ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার গুরুতর ক্ষতির কারণ হবে। সেখান থেকে উদ্ভুত জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি দূর করতে সামরিক-প্রযুক্তিগত এবং অন্য যে কোনো ধরনের প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে রাশিয়া।
যদিও মস্কো কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা স্পষ্ট করেনি।
- সম্প্রতি ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী ‘বিলম্ব না করে’ ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করার আহ্বান জানান।
এমন সময় এ ঘোষণা এলো যখন ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর দেশের মধ্যে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার জন্য জনসমর্থন বাড়ছে।
রাশিয়ার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের এক হাজার ৩০০ কিলোমিটার (৮১০ মাইল) সীমান্ত রয়েছে। এ পর্যন্ত দেশটি প্রতিবেশী রাশিয়ার সঙ্গে বিরোধ এড়াতে ন্যাটো থেকে দূরে থেকেছে। ফিনল্যান্ড আগামী রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।
- সুইডেন বলছে, একই দিনে তারাও এ বিষয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে।
ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেন, আমি আশা করছি, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে সদস্যপদ দেওয়ার প্রক্রিয়া ‘বেশ দ্রুত’ হবে।
গত সপ্তাহে একটি জরিপে দেখা গেছে, ফিনল্যান্ডের ৭৬ শতাংশ মানুষ ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পক্ষে আর বিপক্ষে ১২ শতাংশ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরোধীপক্ষে ছিল ফিনল্যান্ড। এ ছাড়া ১৯৩৯-৪০ সালে দেশটি সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু চূড়ান্ত শান্তি চুক্তিতে ফিনল্যান্ড তার ভূখণ্ডের ১০ শতাংশ হারায় এবং স্নায়ুযুদ্ধের সময় নিরপেক্ষ ছিল। এটি ন্যাটোতে যোগ দিলে জোটের সঙ্গে রাশিয়ার সীমান্ত দ্বিগুণের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাবে। আর অপর দেশ সুইডেনের সঙ্গে রাশিয়ার কোনো সীমান্ত নেই।