চট্টগ্রামে পুলিশ কনস্টেবলের কব্জি কেটে নেওয়া আসামি কবির আহামদকে একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে র্যাব।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে র্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
কবিরের সহযোগী গ্রেপ্তার কফিল উদ্দিনও মাদক ব্যবসায়ী। তিনি কবিরের বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের সহযোগী ও প্রশ্রয়দাতা বলে উল্লেখ করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বড় হাতিয়ার গহীন পাহাড়ি এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের পর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কবির ও তার সহযোগী কফিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, পুলিশ সদস্যের কব্জি বিচ্ছিন্নের ঘটনার পর কবির তার সহযোগী কফিলকে নিয়ে বান্দরবানের দক্ষিণ হাঙ্গর এলাকার একটি দুর্গম পাহাড়ে আত্মগোপন করে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কবির ও তার সহযোগীসহ দ্রুত অবস্থান পরিবর্তন করে পুনরায় লোহাগাড়া থানার বড় হাতিয়ার গহীন পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান নেয়। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালে কবির তার কাছে থাকা অস্ত্র দিয়ে র্যাব সদস্যদের দিকে গুলি ছুড়লে আকরাম নামে একজন র্যাব সদস্য আহত হন। প্রতিউত্তরে র্যাব পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে কবিরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। তার সহযোগী কফিলকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, কবির স্থানীয় একজন চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। সে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় জমি দখল, মারামারিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে আসছে। কেউ তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপে বাধা দিলে তার ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করত। তার কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্রটি এক অস্ত্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কিনেছে। তার নামে বিভিন্ন থানায় হত্যাচেষ্টা ও মারামারির মামলাসহ ৬টি মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গ্রেপ্তার কফিলও একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। বিভিন্ন সময় সে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে মাদক নিয়ে এসে চট্টগ্রাম ও আশপাশ এলাকায় মাদক সরবরাহের সিন্ডিকেট পরিচালনা করত। সে সন্ত্রাসী কবিরের বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের সহযোগী ও প্রশ্রয়দাতা। সে এলাকায় বিভিন্ন মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত। তার নামে বিভিন্ন থানায় মাদক, হত্যাচেষ্টা ও মারামারি সংক্রান্ত ৬টি মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পুলিশ সদস্যের কব্জি বিচ্ছিন্নের ঘটনার পর কবির তার সহযোগী কফিলকে নিয়ে বান্দরবানের দক্ষিণ হাঙ্গর এলাকার একটি দুর্গম পাহাড়ে আত্মগোপন করে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কবির ও তার সহযোগীসহ দ্রুত অবস্থান পরিবর্তন করে পুনরায় লোহাগাড়া থানার বড় হাতিয়ার গহীন পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান নেয়। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালে কবির তার কাছে থাকা অস্ত্র দিয়ে র্যাব সদস্যদের দিকে গুলি ছুড়লে আকরাম নামে একজন র্যাব সদস্য আহত হন। প্রতিউত্তরে র্যাব পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে কবিরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। তার সহযোগী কফিলকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সদস্যদের জখমে ব্যবহৃত একটি দা, একটি ওয়ান শুটার গান, তিন রাউন্ড গুলির খোসা, তিন রাউন্ড তাজা গুলি, দুইটি হাসুয়া, একটি ছুরি, ১৮০ পিস ইয়াবা, দুইটি মোবাইল ও দুইটি সিম কার্ড জব্দ করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
গত ১৫ মে সকালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার লালারখিল এলাকায় মারামারি মামলার আসামি কবির আহামদকে গ্রেপ্তার করতে যায় পুলিশ। গ্রেপ্তার এড়াতে অভিযানে থাকা কনস্টেবল জনি খান ও মামলার বাদী আবুল হোসেনকে দা দিয়ে কোপ দেন কবির। এতে পুলিশ সদস্য জনি খানের বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওইদিন রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার কেয়াজুপাড়া এলাকা থেকে কবিরের স্ত্রী রুবি আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। আহত কনস্টেবল জনি খানের কব্জি সংযোজন করা হয়েছে। তিনি এখন রাজধানীর বেসরকারি আল মানার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।