ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের মিছিলে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এতে ছাত্রদলের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা টিএসসি ছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন। অপরদিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ মিনার এলাকায়।
জানা যায়, হামলায় আহত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের অনেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তাদের চিকিৎসা করিয়ে আবারও ক্যাম্পাসে মিছিল বের করা হবে বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অনেকে আহত হয়েছে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে আমরা শহীদ মিনার এলাকা হয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকছিলাম। সে সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। রড, স্ট্যাম্প, হকি স্টিক ও ছুরি নিয়ে আক্রমণ চালায়।
তিনি বলেন, হামলায় ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, ঢাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ইজাজুল করিম ও সদস্য মানুসূরা গুরুতর আহত হয়েছেন। অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মীর আহত হয়েছেন।
ঢাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক আখতার হোসেন বলেন, আমাদের ৩০-৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি। নেতাকর্মীদের চিকিৎসা দিয়ে আবারও ক্যাম্পাসে ঢুকব, আন্দোলন চালিয়ে যাব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রদল সংগঠনটি রাজাকারদের ডিস্ট্রিবিটর, সন্ত্রাসের ডিস্ট্রিবিটর। তারা সন্ত্রাসীবাদী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীর মধ্যে ভীতি ছড়াচ্ছে। স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম থাকবে কিনা সেই আশঙ্কা করছে শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক ও সুষ্ঠু পরিবেশের স্বার্থে ওদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াচ্ছে।
সম্প্রতি ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মিছিল সমাবেশও করেছেন। তবে সম্প্রতি টিএসসি এলাকায় ছাত্রদলের কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির অভিযোগ উঠে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির দিকে যাচ্ছিলেন বলে জানান তারা। এসময় শহীদ মিনার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।