উইমেন’স ইউরোর রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে হারিয়ে মহাদেশ সেরার মুকুট পরল ইংল্যান্ড। ফুটবলে একটা মেজর শিরোপার জন্য ইংলিশদের হাহাকার অনেক বছরের। অবশেষে, মেয়েদের হাত ধরে সাড়ে পাঁচ দশকের সেই খরা কাটল। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে রবিবার (৩১ জুলাই) অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে ইংলিশ মেয়েরা।
এলাটুন স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নেওয়ার পর লিনা-মাগুল সমতা টেনে ম্যাচ নেন অতিরিক্ত সময়ে। এর আগে আটবার ফাইনালে উঠে প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন হওয়া জার্মানি ঘুরে দাঁড়িয়ে নবম আশায় বুক বাঁধে। তবে এই ইংল্যান্ড দল হতাশা ঢাকতে ছিল মরিয়া। তারই ফসল ক্লোয়ি ম্যাগি কেলির ১১০তম মিনিটের ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোল। প্রতিযোগিতাটিতে তৃতীয়বার ফাইনালে উঠে শিরোপা হাসি হাসল দেশটির মেয়েরা। বলা বাহুল্য, নারী ফুটবলের ইতিহাসে এটাই তাদের প্রথম শিরোপা।
১৯৬৬ বিশ্বকাপে জিওফ হার্স্ট-ববি চার্লটনদের সেই সাফল্যের পর ইংল্যান্ডের পুরুষ কিংবা নারী দল রোববারের আগ পর্যন্ত আর কোনো মেজর শিরোপা জিততে পারেনি। গত বছর পুরুষ ইউরোর ফাইনালে এই ওয়েম্বলিতেই ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায় গ্যারেথ সাউথগেটের দল। মেয়েদের ইউরোপ সেরার এবারের আসরে শুরু থেকেই ফেভারিট ভাবা হচ্ছিল ইংল্যান্ডকে। নামের প্রতি সুবিচার করে টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণভাবে নিজেদের মেলে ধরে সেমি-ফাইনালে শক্তিশালী সুইডেনকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে ওঠে তারা।
রেকর্ড ৮৭ হাজার ১৯২ জন্য দর্শকের উপস্থিতিতে শুরু হওয়া ফাইনালে গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৫৬তম মিনিটে বদলি নামেন এলা টুন। মাঠে নামার ছয় মিনিটের মাথায় দলকে কাঙ্ক্ষিত গোল এনে দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই ফরোয়ার্ড। ৭৯তম মিনিটে পাল্টা-আক্রমণে গোল করে ইংলিশদের স্তব্ধ করে দেন মাগুল। সেটা যদিও কেবল তাদের উৎসবটাকে বিলম্বিতই করতে পারে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের জমজমাট লড়াইয়ের ১১০তম মিনিটে অবশেষে ওই জয়সূচক গোল।
সতীর্থের কর্নার কিকে ডি-বক্সে উড়ে আসা বলে প্রথম দফায় জটলার মধ্যে পা লাগাতে পারেননি কেলি। জার্মান গোলরক্ষকও পারেননি ক্লিয়ার করতে, দ্বিতীয়বার সুযোগ পেয়ে আর ভুল নয়; আলতো টোকায় বল জালে পাঠিয়ে জার্সি খুলে উল্লাসে মাতেন ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার। বাকিটা সময় ওই ব্যবধান ধরে রেখে ইউরোপ জয়ের উৎসব শুরু করে পুরো ইংল্যান্ড।