দেশে প্রথম ‘মাদক বিজ্ঞানী’ গ্রেপ্তার হয়েছেন। এই ‘মাদক বিজ্ঞানীর’ নাম ওনাইসী সাঈদ ওরফে রেয়ার সাঈদ (৩৮)। বিদেশ থেকে ফিরে মাদক নিয়ে গবেষণা করছিলেন তিনি। এর মধ্যেই কুশ, হেম্প, মলি, ফেন্টানলের মতো মাদকের চাষ ও বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাতকরণের উদ্দেশ্যে তাপ নিয়ন্ত্রণ গ্রো-টেন্টও তৈরি করেছেন এই ‘বিজ্ঞানী’।
গত সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ‘মাদক বিজ্ঞানী’ সাঈদকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) গণমাধ্যমের সামনে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, সাইদ নিজে শুধুমাত্র ধূমপান ও মদে আসক্ত। কিন্তু গবেষণা করতেন বিভিন্ন নতুন প্রজাতির মাদক নিয়ে। নিজের বাসায় মাদক উৎপাদনের প্ল্যান্ট তৈরি করেন। তার ইচ্ছা ছিল নিত্যনতুন মাদক নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। চেয়েছিলেন ‘মাদক বিজ্ঞানী’ হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব ও খ্যাতি পেতে। কীভাব নতুন ধরনের মাদক সেবন করা যায়, তার জিনিসপত্র কী হবে সেটিও পরিকল্পনা করতেন সাইদ।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের এই পরিচালক আরও বলেন, আটকের পর দীর্ঘ সময় সাইদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি জানান, নতুন বিভিন্ন মাদকের প্রতি আগ্রহ থেকেই সাইদ এসব নিয়ে অধ্যায়ন ও গবেষণা শুরু করেন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনুসারে উন্নত দেশে সরবরাহের জন্য তিনি নিজের বাসায় কুশ প্ল্যান্টের ফার্ম তৈরি করেন।
সোমবার রাতে সাইদের গুলশান এলাকার বাসায় এক অভিযান চালিয়ে ১০১ গ্রাম কুশ, ছয় গ্রাম হেম্প, শূন্য দশমিক শূন্য পাঁচ গ্রাম মলি, এক গ্রাম ফেন্টানল, ১৮ গ্রাম কোকেন, ১২৩ পিচ এক্সট্যাসি ও ২৮ পিচ এডারল ট্যাবলেট জব্দ করে র্যাব। পাওয়া যায় দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা ও অন্তত ৫০ লাখ টাকার মার্কিন ডলার।