রাশিয়ায় নয় বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মার্কিন নারী বাস্কেটবল খেলোয়াড় ব্রিটনি গ্রিনারকে মুক্তির ব্যাপারে ওয়াশিংটনের দেওয়া প্রস্তাব গ্রহণ করার জন্য মস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিবিসি
এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রস্তাবটি ‘একটি গুরুতর প্রস্তাব’। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আগ্রাসনের কিছুদিন আগে রাশিয়ার শেরেমটিভো বিমানবন্দরে মাদকসহ আটক হন ব্রিটনি গ্রিনার। সে সময় তার কাছ থেকে ভেপ ও হ্যাশওয়েল নামে নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করে রাশিয়ার নিরাপত্তাকর্মীরা। তার কাছে নিষিদ্ধ এ মাদকটি এক গ্রামেরও কম ছিল। তবে ব্রিটনি গ্রিনার নিজের দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় তাকে নয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় বলে বৃহস্পতিবারের রায়ে রুশ আদালত জানিয়েছেন।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে বন্দি বিনিময়ের প্রস্তাব দিয়েছে বলে মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কয়েকদিন আগেও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রাশিয়ায় বন্দি মেরিন সদস্য পল হোয়েলান এবং বাস্কেটবল খেলোয়াড় ব্রিটনি গ্রাইনারকে মুক্তির বিনিময়ে জার্মানিতে একটি হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ভাদিম ক্র্যাসিকভেও মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া।
রাশিয়া এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রুশ নাগরিক ভিক্টর বাউটকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে এফএসবি নামে পরিচিত গুপ্তচর সংস্থার মাধ্যমে কূটনীতিক চ্যানেলের বাইরে ভাদিম ক্র্যাসিকভে মুক্তি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রাশিয়া অনুরোধ জানিয়েছিল বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বার্লিনের ক্লেইনার টিয়ারগার্টেনে সাবেক চেচেন যোদ্ধা জেলিমখান ‘টর্নিকে’ খানগোশভিলিকে হত্যা করার জন্য ক্র্যাসিকভকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এজন্য তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তবে ভাদিম ক্র্যাসিকভকে মুক্তি দিয়ে রাশিয়ায় এই প্রস্তাব কয়েকটি কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে কয়েকটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে।
কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, জার্মান কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত ভাদিম ক্র্যাসিকভ ভিক্টর বাউটের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে নেই। তাই তার মুক্তির বিষয়টি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের হাতে নেই।
তবে, জার্মান সরকার এই রুশ নাগরিককে ছাড়তে প্রস্তুত কি না তা এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র খতিয়ে দেখেছে বলে বার্লিনের এর কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে।