টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হবে এশিয়া কাপ। বছরের শেষদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও রয়েছে। কিন্তু কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে বাংলাদেশ দল অনুজ্জ্বল।
সময় এখন ব্যাটারদের পাওয়ার হিটিং শেখানো, পাওয়ার প্লে কাজে লাগানোর বুদ্ধিটা রপ্ত করার। এমন পরিকল্পনাকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার পরিবর্তনের আভাস দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
একদিন পরেই বিসিবি সভাপতি জানালেন, বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছেন ভারতীয় কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম। রোববারই সাকিব বাহিনীকে নিয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
এমন খবরে যে প্রশ্ন ওঠে, কে এই শ্রীরাম! ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারে তার অর্জন কি?
পরিসংখ্যান বলছে, ক্যারিয়ারে স্পিন অলরাউন্ডার ছিলেন শ্রীরাম। তবে তার ক্যারিয়া বেশ ছোট। ভারতের জার্সি গায়ে মাত্র ৮টি ওয়ানযে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে শ্রীরামের। আটটি ওডিআইতে ১৩.৫ গড়ে মাত্র ৮১ রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ৬০।
যেখানে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের খেলা, সেখানে এমন ক্যারিয়ারের ব্যক্তিত্বকে কেন সাকিব-মুশফিকদের প্রশিক্ষক হিসেবে আনা হচ্ছে?
এ বিষয়ে শুক্রবার গুলশানে বিসিবি সভাপতি সাংবাদিকদের জানালেন, হেড কোচ হিসেবে নয়; উপদেষ্টা হিসেবে বাংলাদেশ দলে যোগ দেবেন শ্রীরাম।
পাপন বলেন, ‘শ্রীরামকে আমরা শর্টলিস্ট করেছিলাম, সে ওই লিস্টে ছিল। এবং সে আমাদের এখানে ২১ তারিখ দুপুরবেলা আসার কথা। দায়িত্ব ঠিক না, মানে কোচ হিসেবে আসছে না। সে অবশ্যই হেড কোচ হিসেবে আসছে না। সে আসছে অ্যাজ অ্যা টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে। আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত।’
এরপরও প্রশ্ন থেকেই যায় – কী দেখে শ্রীরামকে নিয়োগ দিলো বিসিবি? তার যোগ্যতা কী? বিসিবি সভাপতি জানালেন, দুটি কারণে শ্রীরামকে যোগ্য মনে হয়েছে তাদের।
নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘কতগুলো বিষয় বিবেচনায় আনা হয়েছে। যেহেতু তার আইপিএলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে। আমরা এমন কাউকে চাচ্ছিলাম যার সঙ্গে টি-টোয়েন্টির সম্পৃক্ততা আছে, অভিজ্ঞতা আছে। আর যেহেতু খেলা (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) অস্ট্রেলিয়ায়, সে অস্ট্রেলিয়ায় অনেক দিন কাজ করেছে। এই দুটি কারণে তাকে আমরা বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিয়েছি।’
আইপিএলও দুটি দলের কোচ হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে শ্রীরামের। আইপিএলের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা এবং অস্ট্রেলিয়ায় দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে তার যে অভিজ্ঞতা, সেটি কাজে লাগাতেই বিসিবি তার শরণাপন্ন হয়েছে।
প্রশ্ন হলো, তিনি যদি দলের টেকনিক্যাল উপদেষ্টা হয়ে থাকেন, তাহলে প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করবেন কে? এ বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনে খোলাসা করেননি বিসিবি সভাপতি।
এ ব্যাপারে নাজমুল হাসানক বলেন, ‘এটা আমরা এখনো ঠিক করিনি। ২২ তারিখ সবার সঙ্গে বসা হবে। বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। অনেক পরিবর্তনই আসবে। একটা-দুটো জিনিস না।’
শিয়া কাপে দলের সঙ্গে হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো যাচ্ছেন না? পাপন বলেন, ‘এশিয়া কাপে ডমিঙ্গোকে পাঠানো হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত হবে সোমবার। আমরা তার সঙ্গে বসব। শ্রীরামের সঙ্গেও আলোচনা হবে। আসলে ওডিআই ও টেস্ট দলে ডমিঙ্গো মনোযোগ দেবে, এই হচ্ছে আমাদের পরিকল্পনা। আমরা সবকিছু আলাদা করতে চাই। কারণ সামনে আমাদের অনেক ম্যাচ। আর ডমিঙ্গোর পক্ষে সব সিরিজের জন্য ভ্রমণ করা সম্ভব নয়। আমাদের প্রধান লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এশিয়া কাপের আগে আমরা টেকনিক্যাল পরামর্শক আনলাম, যাতে তিনি দলের রণনীতি তৈরির সময় পান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’