ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ‘মদের আসর’ বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ জনের মতো আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে হলের মূল ভবনের ছাদে এ ঘটনা ঘটে। হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের অনুসারী পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান রাহিসহ আরও কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী ছাদে বসে মদ পান করছিলেন। এ সময় হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানার অনুসারী মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান ফরিদও তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে ছাদে মদ পান করতে যান।তখন রাহি ও তার বন্ধুদের ছাদে দেখে ফরিদ তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু রাহি যেতে না চাইলে তাদের মধ্যে কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাহিকে থাপ্পড় মারেন ফরিদ। তখন রাহি বিষয়টি সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনকে জানালে ওই গ্রুপের নেতাকর্মীরা ছাদে গিয়ে রাহিকে থাপ্পড় মারার কারণ জানতে চান। এরমধ্যে সভাপতি গ্রুপেরও প্রায় ৪০ জন কর্মী ছাদে চলে আসে। তখন সেখান উপস্থিত উভয় পক্ষের প্রায় ৭০-৮০ জনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে সেটি সংঘর্ষে রূপ নিলে ১০ জনের মতো আহত হয়।
খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা সেখানে যান। তার উপস্থিতিতেও কিছুক্ষণ দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি চলতে থাকে। পরে নেতারা হলের অতিথি কক্ষে বসে বিষয়টি সমাধান করেন।
মদের আসরের বিষয়টি অস্বীকার করে হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘রাতে ছাদে উচ্চ স্বরে গান গাওয়াকে কেন্দ্র করে কিছু শিক্ষার্থীর কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি।’ তবে কেউ যদি মাদক গ্রহণের প্রমাণ দিতে পারে, তাহলে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।
উক্ত ব্যাপারে সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ আবদুর রহিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘রাতে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর পেয়েছি। হলের হাউজ টিউটর, স্টাফ, ছাত্রসহ হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলেছিল। কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে আমরা তদন্তের সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।