বিভিন্ন হুমকি থাকা সত্ত্বেও অবশেষে চীনের সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায় নিয়ে আগামী সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করতে যাচ্ছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান মিশেল ব্যাশেলে।
আগামী সপ্তাহে তার চার বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে চীনের উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর দেশটির সরকারের নির্মম আচরণ নিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন বলে জানান তিনি।
দীর্ঘদিন ধরেই চীনের বিরুদ্ধে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ করে আসছে বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংস্থা। গণহত্যা এবং নির্যাতন চালানোর এ অভিযোগ নতুন না হলেও বরাবরই এ বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে বেইজিং। এ বিষয়ে প্রায় সময়ই গভীর উদ্বেগ জানানোর পাশাপাশি জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের দাবিও জানায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।
২৫ আগস্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের সদর দফতরে এক বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহন করেন মিশেলে ব্যাশেলে। এ সময় মানবাধিকার সংস্থার প্রধান সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দেন।তিনি বলেন, আগামী ৩১ আগস্ট তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হবে। চীনা সরকারের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য উপাত্তগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মিশেল ব্যাশেল জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান মিশেল ব্যাশেলে বলেন, কেন দেরি হয়েছে? যেমনটা আপনারা সবাই জানেন, মার্চে চীনা সরকারের সঙ্গে আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছে তাদের দেশে সফরে গিয়েছিলাম। চীনে যাওয়ার বিষয়টি আমি অত্যন্ত গুরত্বের সঙ্গে দেখেছি। মানবাধিকার বিষয়ে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুলো ক্ষতিয়ে দেখার মতো গুরত্বপূর্ণ কাজও করেছি।এ সময় তিনি প্রতিবেদনটি প্রকাশের পক্ষে এবং বিপক্ষে বিভিন্ন দেশ থেকে চিঠি এবং ফোন কলের মাধ্যমে আসা চাপের বিষয়েও মন্তব্য করেন।