বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবেলায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন বাড়াচ্ছে চীন। এর ফলে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন পরিবেশবাদীরা।
ছয় দশকের রেকর্ড ভেঙে টানা ৭০ দিন ধরে তাপদাহ চলছে চীনে। তীব্র খরা আর রেকর্ড তাপ প্রবাহের কারণে সৃষ্ট বিদ্যুৎ সংকটে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিপর্যস্ত হয়ে আছে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সিচুয়ান প্রদেশ।
দীপ্তি হারিয়েছে ৮ কোটি মানুষের এ জনপদের আকাশচুম্বী অট্টালিকাগুলো। বন্ধ হয়ে গেছে কল কারখানা, অন্ধকার হয়ে আছে সাবওয়ে। ঘরবাড়ি আর অফিসগুলোও ডুবে থাকছে আঁধারেশীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রগুলো সবসময় বন্ধ রাখতে হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে খামারগুলোতে অতিরিক্ত গরমে মারা গেছে হাজারো হাঁস-মুরগি আর মাছ।
আর প্রভাব পড়েছে পাশের মেগা শহর চংকিং এবং ইয়াংজি নদীর ধার ঘেঁষা পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোসহ বাণিজ্য কেন্দ্র সাংহাই পর্যন্ত। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে গত সপ্তাহে সেখানকার বড় অট্টলিকাগুলোয় কোনো বাতি জ্বলেনি।সিএনএন এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আর স্থিতিশীলতার জন্য গর্বিত এই দেশটি এমন বিদ্যুৎ ঘাটতিতে পড়ায় বড় ধাক্কা খেয়েছেন সেখানকার মানুষ।
পূর্বের কয়েক দশক ধরে উন্নত জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত বাসিন্দাদের অনেকেরই স্মৃতিতে এখন ভাসছে সুদূর অতীতের কথা। দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসা চকচকে নগরিক জীবনের আগের দিনগুলো।একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আর নিরাপত্তা এখন হুমকির মুখে।যা ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বোচ্চ কার্বন হ্রাস এবং ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যের ঘরে নামিয়ে আনতে চীনের দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে খর্ব করবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিচুয়ানের এই বিদ্যুৎ বিপর্যয় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চীনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা যে, প্রয়োজনের চেয়ে কম শক্তিশালী তার একটি উদাহরণ।