fbpx
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
বাড়িসারাদেশরাজশাহীরাবি শিক্ষকদের পরীক্ষার ফলাফল জালিয়াতি

রাবি শিক্ষকদের পরীক্ষার ফলাফল জালিয়াতি

রাবি চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থীকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করানোর অভিযোগ উঠেছে বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।

আজকে সকাল ৯টায় ফলাফল পুর্নমূল্যায়নের দাবিতে একাডেমিক ভবনে তালা দিয়েছে বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এসময় আন্দোলনে শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারিতা ও ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করিয়ে দেয়ার অভিযোগ করেন তারা।আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ- তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় বিভাগের পাঁচজন নিয়মিত ছাত্রকে ভর্তি কমিটির সদস্যরা ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করিয়ে দেন।

প্রশাসনকে বারবার বলার পরেও এ বিষয়টা সুরহা করেনি। সমাধানের পথ খুঁজতে আন্দোলন নেমেছেন তারা। তবে নির্দিষ্ট কোনও শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেনি কোনও শিক্ষার্থী।পরীক্ষায় ফেল আসা শিক্ষার্থীরা হলেন- আব্রাহাম হাজদা খোকন, তাসনিয়া রহমান রিন্থি, মেহেদী হাসান পুলক, উইলিয়াম ও শাফিন।

তানজীম রহমান নীরব নামে ওই বিভাগের শিক্ষার্থী জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিভাগের ৮টি সাবজেক্টে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা। যেহেতু ডিপার্টমেন্টের ব্যাপার তাই তারা কাউকে কিছুই বলেননি। শিক্ষকরা তাদের আর মানুষ মনে করেননা। পাঁচজন শিক্ষার্থী যাদের ফেল এসেছে, তারা সবাই নিয়মিত ক্লাস করে।

গত ৪ আগষ্ট থেকে সমস্যা নিয়ে কথা বলছে কিন্তু ২৪ দিন ধরে ঘুরাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন তারা। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

হুমাইরা রাত্রি বলেন, আসলে আমাদের আন্দোলনটা হচ্ছে ফলাফল পুর্নমূল্যায়ন করার জন্য। পাঁচজন শিক্ষার্থীকে কেন ফেল করানো হলো এ বিষয়টা আমরা জানতে চাই। যারা ফেল করেছে এদের জীবন থেকে একটা বছর চলে যাবে এটা আমরা মানতে পারিনা। যতক্ষণ না এ বিষয়টা সমাধান হচ্ছে ততক্ষণ আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

পরীক্ষায় ফেল আসা শিক্ষার্থী শাফিন বলেন, আমাদের তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় শিক্ষকরা নিজেদের মনের মতো করে রেজাল্টশিট দিয়েছেন। আমরা স্যারদের কাছে গিয়েছি কিন্তু লাভ হয়নি। উনারা কোনও ভাবেই আমাদের কথা শুনেন নাই। ২২/২৩ দিন ধরে গিয়েছি তারা প্রশ্নপত্র মূল্যায়ন করেননি বরং তারা বলেছে যেটা রেজাল্ট আসছে সেটাই মেনে নিতে। যতক্ষণ না ভিসি স্যারের কাছ থেকে সমাধানের আশ্বাস পাচ্ছি ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর আশাবুল হক। তিনি বলেন, যেহেতু একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। এটা সমাধান করতে কয়েকটি পদক্ষেপ রয়েছে। হুট করেই সমাধান করা যাবেনা। আমি দুইজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে ভিসি স্যারের কাছে যাচ্ছি তারা তাদের সমস্যা কথা বলবেন। এরপর কিভাবে সমস্যাটা সমাদান করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

তবে এ বিষয়ে চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ আলী জানান, তাদের সমস্যার কথাগুলো ভিসি স্যারের সাথে কথা বলতে হবে। তাদের বলেছি তোমরা তালা খুলে দাও অন্যান্য বিভাগের পরীক্ষা চলছে, ভোগান্তি হচ্ছে। আমরা সমস্যা সমাধানের পথেই এগুবো।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments