সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২০ সালের লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দেন অন্য একজন কিন্তু মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে ধরা পড়ে পরীক্ষার্থী এখন কারাগারে।
রবিবার নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে রুপেন দাস (২৮) নামের ওই পরীক্ষার্থীকে মোবাইল কোর্টে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।অভিযুক্ত রুপেন দাস হাতিয়া উপজেলার পরেশ চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন রাজস্ব খাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২০’ এর মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চাকুরিপ্রার্থীর হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন অন্য একজন পরীক্ষার্থী। তবে আজ অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষায় মূল চাকুরিপ্রার্থীই অংশ নেন। ভাইভা বোর্ডে লিখিত পরীক্ষার খাতার হাতের লেখার সাথে চাকুরিপ্রার্থীর হাতের লেখা মিলিয়ে দেখার সময় তার লেখার মিল না থাকায় সন্দেহ হয়। পরে জেলা প্রশাসক জনাব দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তামান্না মাহমুদ, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত দাশ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও পিটিআই সুপারের বিশদ জিজ্ঞাসাবাদে চাকুরিপ্রার্থীর হয়ে অন্য একজনের পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার বিষয়টি অভিযুক্ত ব্যক্তি স্বীকার করেন।
জেলা প্রশাসক জনাব দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, ‘আটক পরীক্ষার্থী আজ রবিবার মৌখিক পরীক্ষায় উপস্থিত হলে হাতের লেখা যাচাই-বাছাই করা হয়। এসময় লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার হাতের লেখার মিল না পাওয়ায় তাকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত চাকুরিপ্রার্থীর দোষ স্বীকারের ভিত্তিতে বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব দেবব্রত দাশের মোবাইল কোর্টে অভিযুক্তকে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারা মোতাবেক সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। প্রক্সি পরীক্ষার্থী ও সহযোগিতাকারীদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। ‘