রংপুর নগরীর কামারের মোড় এলাকায় আজিজুল হক ছাত্রীনিবাস থেকে শাহনাজ আক্তার নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার দক্ষিণ ঘাগোয়ায়।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শাহনাজের গ্রামের এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার বিয়ের খবর পেয়ে তিনি আত্মহতার পথ বেছে নেন।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসআই) ইজার আলি জানান, শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। একটি কক্ষে ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় মেয়েটির ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, মেস মালিক সমিতির সভাপতির উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে শাহনাজের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
ছাত্রীনিবাসটির অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার বেলা ৩টা থেকে শাহনাজের রুমের জানালা-দরজা বন্ধ ছিল। বিকাল পেরিয়ে রাত হলেও শাহনাজ দরজা না খোলায় রাত সাড়ে ৮টায় থেকে বান্ধবীরা দরজায় ধাক্কা দেন। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে পেছনের জানালা দিয়ে দেখতে পান শাহনাজ ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলছে। তাদের ধারণা বিকেল ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে, ময়নাতদন্ত ছাড়াই ওইদিন দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীদের মাঝে কৌতূহল জাগে, কেন তদন্ত করা হলো না?
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, শিক্ষার্থীর পরিবার তদন্ত চায়নি। তারা মেয়ের লাশ চেয়েছে। পরে পুলিশ প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে লাশটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসআই) ইজার আলী বলেন, এ ঘটনায় কোনো আলামত না পাওয়ায় শাহনাজ আক্তারের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ হস্তান্তর করা হয়।