বরগুনা ও ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় গতকাল সোমবার বিএনপিরই প্রায় ৯০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। বরগুনায় আওয়ামী লীগ নেতা এবং ফরিদপুরে পুলিশ বাদী হয়ে এই দুই মামলা করে।
এদিকে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
বরগুনার পাথরঘাটায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনি, তাঁর ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম জামাল, পাথরঘাটা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুকসহ ৯৯ ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে এবং ২৫০ থেকে ৩০০ অজ্ঞাতনামা নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।কাকচিড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিন পল্টুর করা মামলায় বেআইনিভাবে সমাবেশ, হামলা, মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়।
ফরিদপুরে আগেরদিন বিএনপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় গতকাল ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিএনপির সমাবেশে পুলিশ, ছাত্রলীগ-যুবলীগ-শ্রমিক লীগ হামলা করলে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলসহ যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদেরই আসামি করেছে পুলিশ।
গতকাল দুপুরে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ ফকির বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে পুলিশের ওপর হামলা করে চার থেকে পাঁচজন পুলিশ সদস্যকে আহত করা, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এম এ জলিল বলেন, গত রবিবার বিকেলে কোর্টপাড় এলাকার স্বাধীনতা চত্বরে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের সরকারি কাজে বাধা দেন। তাঁরা পুলিশের ওপর ইট ছুড়ে মারেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ বিএনপির সমাবেশে হামলা চালিয়ে নির্বিচারে নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করেছে। তাই তারা বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা দেবে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।