চট্টগ্রামে মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার ঘটনায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ছয় বছর আগে যে মামলা করেছিলেন, তাতে তাকেই প্রধান আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের সুপার নাঈমা সুলতানার নেতৃত্বে তদন্ত কর্মকর্তা আবু জাফর মো. ওমর ফারুকসহ এ সংস্থার একটি দল মঙ্গলবার আদালতে গিয়ে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
নাঈমা সুলতানা বলেন, মোট সাতজনকে এ মামলার অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে। তদন্তে আমরা বাবুল আক্তারকে আসামি হিসেবে পেয়েছি। আমরা আগে বারবার বলেছি হত্যাকাণ্ড কেন হয়েছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় সাড়ে তিন বছর আমরা তদন্ত করেছি। ১ নম্বর আসামি বাবুল আক্তার কীভাবে জড়িত তা আমরা পেয়েছি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রিমান্ডে নির্যাতনের অভিযোগ এনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার ও চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের এসপি নাঈমা সুলতানাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার।
২০২১ সালের ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। এরপর থেকে বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন।
মামলায় নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ১৫ (১) ধারা এবং সংশ্লিষ্ট আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়- ২০২১ সালের ১০ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত সময়ে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ও জেলা অফিসে বাবুল আক্তারের উপর নির্যাতন করা হয়। স্ত্রী হত্যার ঘটনায় মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য বাবুল আক্তারের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয় বলেও অভিযোগ করেন আইনজীবীরা।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার কাছে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।