রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণা চালাতে গিয়ে এক নারী সদস্য প্রার্থী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন ওই নারী।
অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ফিরে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ওই প্রার্থী। আগামী ১৭ অক্টোবর নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে।
এক স্বজনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছেন ওই নারী সদস্য প্রার্থী। তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অনেকটা ভেঙে পড়েছেন তিনি। তবে প্রচারণা চালাতে গিয়ে যেহেতু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাই এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে মাঠেই আছেন। ভোটারদের কাছ থেকে তিনি সাড়া পাচ্ছেন বলে দাবি করলেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করায় পুলিশের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।এ ঘটনায় গ্রেফতার পাঁচ আসামি হলেন- বাগমারার মাহাবুর রহমান , আকবর হোসেন, সোহেল রানা, দুলাল হোসেন ও ফজলুর রহমান ।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে বাগমারা থানার পুলিশ জানিয়েছে, আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণা চালাতে গিয়ে এক নারী সদস্য প্রার্থী বাগমারা উপজেলায় যান। প্রচারণা শেষ হতে রাত হয়ে যায়। বাড়ি ফেরার পথে পাঁচ ব্যক্তি তার গতি রোধ করেন। এসময় তারা তাকে তুলে নিয়ে অস্ত্রের মুখে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তিনি চিকিৎসা নেন। চিকিৎসা শেষে গত বৃহস্পতিবার থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আসামিদের গ্রেফতারে তৎপরতা শুরু করে। পরদিন রাতে পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক আফজাল হোসেন বলেন, এজাহারে ঠিকানা ও বাবার নাম ভুল থাকায় আসামিদের গ্রেফতার করতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।