বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম কমায় বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৪ টাকা কমিয়ে ১৭৮ টাকা বিক্রির ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। গত মঙ্গলবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের কথা। তবে গতকাল বুধবার বাজারে এর কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। পাইকারি ও খুচরায় আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্য তেল।
ক্রেতাদের অভিযোগ, ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণার দিনই ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি শুরু করলেও দাম কমানোর ঘোষণার পর নতুন দাম কার্যকর হচ্ছে না।
এদিকে সরকার দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। আর প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। তবে বাজারে খোলা পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দামে। প্রতি লিটার খোলা পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। গতকাল রাজধানীর গুলশান কালাচাঁদপুর, রামপুরা ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
গত সোমবার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৪ টাকা কমানো হয়। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭৮ টাকা। আগের দাম ছিল ১৯২ টাকা।
গত ২২ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৮৪ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি সর্বোচ্চ ৮৯ টাকা এবং পাম অয়েলের লিটার ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এই নির্দেশনা না মেনে বাজারে পুরনো বাড়তি দামেই চিনি বিক্রি করা হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি পর্যায়ে চিনির দাম না কমিয়ে খুচরা পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, যে কারণে দাম কমার পরিবর্তে উল্টো চিনির বস্তাপ্রতি দাম ১০০ টাকা বেড়েছে। চার হাজার ২০০ টাকার চিনির বস্তা এখন কিনতে হয়েছে চার হাজার ৩০০ টাকায়। সঙ্গে গাড়িভাড়া বাবদ খরচ বস্তাপ্রতি আরো ১০০ টাকা। সব মিলিয়ে প্রতি কেজি চিনির কেনা দাম পড়ছে ৮৮ টাকা। এ অবস্থায় সরকার নির্ধারিত ৮৪ টাকা কেজি দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়।
তবে বাজারে পাম অয়েলের দাম কমেছে। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও কম দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে পাম অয়েল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন নির্ধারিত দামের তেল এখনো তাঁরা পাননি।
গুলশান কালাচাঁদপুর বাজার এলাকার বৃষ্টি ভ্যারাইটিজ স্টোরের ব্যবসায়ী রিফাত মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘খোলা চিনি ৯০ টাকার নিচে বিক্রি করলে আমাদের লসে বিক্রি করতে হবে। পাইকারি পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে না দেওয়ায় এখন দাম বাড়ছে। আর নতুন দামের সয়াবিন তেল বাজারে আসতে সময় লাগবে। যখন তেলের দাম বেড়ে যায় তখন পরের দিনই দোকানে তেল চলে আসে। কমলে এক সপ্তাহেও আমরা তেল পাই না।’