চট্টগ্রাম নগরীর ঐতিহাসিক পোলোগ্রাউন্ডে গণসমাবেশ করেছে বিএনপি। এ বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘ক্ষমতা ছাড়ুন।
নিরাপদে চলে যান। “সেফ এক্সিট” নিন। তা না হলে পালানোর পথও খুঁজে পাবেন না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্যই হলো এ সরকারকে এখনই পদত্যাগ করানো। তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। ফয়সালা হবে রাজপথে। আজ যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, সেই আন্দোলন আমরা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেব। সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকারের অবশ্যই পতন ঘটাব এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব ইনশা আল্লাহ।’
প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশের মানুষের উদ্দেশে বলেছেন “দুর্ভিক্ষ আসছে, কম খান, বাতি কম জ্বালান, পানি কম ব্যবহার করুন।” এসব কথা বলছেন এখন, তবে আপনারা আছেন কেন? বিদায় হোন। আমি আগেই বলেছি সেফ এক্সিট করুন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ সরকার বাংলাদেশের সমস্ত অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। সেজন্য আমরা বলেছি অবিলম্বে এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এ সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। আমরা বলেছি সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। সেই নির্বাচন কমিশন গঠন হলে সব রাজনৈতিক দলকে এক করে নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হবে। সেই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের পার্লামেন্ট গঠন হবে। সেই সরকার হবে জনগণের সরকার।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার পঙ্কজ দত্ত বলেন, বিএনপির সমাবেশ যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ কারও বাসায় অভিযান চালায়নি। পুলিশ কাউকে ভয়ভীতি দেখাতেও যায়নি। কারও বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলে সে ক্ষেত্রে হয়তো পুলিশ অভিযানে যেতে পারে। কিন্তু গত রাতে গণহারে গ্রেফতারের কোনো তথ্য পুলিশের কাছে নেই।
গতকাল চট্টগ্রাম শহরে বিভাগীয় সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিএনপির টানা দুই মাসব্যাপী এ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে, যা শেষ হবে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে।