fbpx
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
বাড়িঘটনা-দুর্ঘটনাকর্ণফুলীতে জাহাজডুবি: পাঁচ মরদেহ উদ্ধার

কর্ণফুলীতে জাহাজডুবি: পাঁচ মরদেহ উদ্ধার

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর ইছানগরের সি রিসোর্স ঘাট এলাকায়  ‘এফভি মাগফেরাত’ জাহাজ ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ সাতজনের মধ্যে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ।

উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে চারজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন, এফবি মাগফেরাত জাহাজের ক্যাপ্টেন ফারুক বিন আব্দুল্লাহ, প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, প্রধান কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, ডক কর্মচারী রহমত আলী। বেলা সাড়ে তিনটায় সর্বশেষ একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি ফিশিং মাস্টার জহিরুল ইসলামের বলে দাবি করেছেন তার পরিবার। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে মরদেহের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার সাড়ে তিনটা পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতু ও ১৫ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে এই পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ। তিনি জানান, মরদেহগুলো চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত ১১টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান জাহাজের ডুবুরি মো. ফয়সাল।

মঙ্গলবার রাত দেড়টায় দিকে কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামের সি রিসোর্স ডকইয়ার্ড ঘাটে জাহাজটি মেরামত কাজ করতে উঠার সময় পাখা খুলে যায়। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বয়ার সঙ্গে ধাক্কা লেগে পানি ঢুকে জাহাজটি ডুবে যায়। জাহাজডুবির ঘটনায় জাহাজটি নিবন্ধনকারী সংস্থা নৌ-বাণিজ্য অফিস তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিকে জাহাজ ডুবির ঘটনাস্থলে ভিড় করছেন নিখোঁজদের স্বজন ও স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিখোঁজ ফিশিং মাস্টার হাতিয়ার বাসিন্দা জহিরুল ইসলামের (৩৫) ছেলে রাকিবুল হাসান ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের জহিরুলের ছবি নিয়ে নদীর পাড়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। নিখোঁজ জহিরের বোন মোছাম্মত হাছিনা বলেন, আমার ভাইকে জীবিত অথবা মৃত ফেরত চাই। একই বক্তব্য পাওয়া যায় নিখোঁজ জহিরের ছেলে রাকিবুল কাছেও। নিখোঁজ জহির হাতিয়া উপজেলার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল রশীদের ছেলে।

অন্যদিকে ডকইয়ার্ড সদস্য মো. রহমতের মরদেহ উদ্ধারের সংবাদে শোকের মাতম দেখা গেছে কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে রহমতের বাড়িতে। বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন রহমতের স্ত্রী রং বানু, তার মা সাইরা খাতুন ও ভাই  ইসমত আলী। রহমত উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর গ্রামের মুন্সি মিয়ার ছেলে।সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, কর্ণফুলীতে ফিশিং জাহাজ ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ সাতজনের মধ্যে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুজনের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চলছে।এ বিষয়ে জানতে ডুবে যাওয়া জাহাজ এফভি মাগফেরাতের মালিক পক্ষ র‍্যাংকন গ্রুপের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আদনানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments