লাইফ সাপোর্টে একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনয়শিল্পী, নাট্যকার মাসুম আজিজ । গত এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ‘লাইফ সাপোর্টে’ নেওয়া হয়েছে ।
ক্যানসারে ও হৃদ্রোগে ভুগছিলেন মাসুম আজিজ। এ বছরের ২ জানুয়ারি তার ক্যান্সার ধরা পড়ে। তখন থেকেই স্কয়ার হাসপাতালে তার চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।ক্যান্সারের প্রথম ক্যামো এ হাসপতাল থেকেই নেওয়া হয়। ভালোভাবেই ক্যামোর প্রথম পর্ব সম্পন্ন করেন। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় ক্যামোর দ্বিতীয় পর্বে এসে।
মাসুম আজিজের ছেলে উৎস জামান বলেন, এ বছরের শুরুতে বাবার ক্যান্সার ধরা পড়ে। প্রথম ক্যামো ঠিকভাবেই সম্পন্ন হয় কিন্তু দ্বিতীয় ক্যামো যখন শুরু করা হয় তখন বাবার শরীর এটা নিতে পারছিলো না। এরপর গত মাসের ২৪ তারিখে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেদিনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসায় কিছুটা উন্নতি হলে তাকে আমরা বাসায় নিয়ে আসি। চারদিন বাসায় থাকার পর ৮ তারিখে শারীরিক খারাপ হলে আবার হাসপাতালে নেই। এতো আইসিইউতে থেকে চিকিৎসা হচ্ছিল বাবার। আজ সকাল থেকে বাবার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। বাবার জন্য দোয়া করবেন সবাই।
মাসুম আজিজ চিত্রনাট্যকার ও নাট্যনির্মাতা হিসেবেও বেশ পরিচিত। মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের খ্যাতি রয়েছে তার। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তিনি থিয়েটারে কাজের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর ১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেন। হুমায়ূন আহমেদের ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’, সালাউদ্দিন লাভলুর ‘তিন গ্যাদা’সহ অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘ঘানি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০০৬ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে রাইসুল ইসলাম আসাদের সঙ্গে যুগ্মভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন মাসুম আজিজ। ‘গহীনে শব্দ’, ‘এই তো প্রেম’, ‘গাড়িওয়ালা’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সরকারি অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘সনাতন গল্প’ পরিচালনা করেছেন। ছবিটি ২০১৮ সালে মুক্তি পায়।