মানসিক সমস্যা নিয়ে প্রচলিত মনোভাব বদলানোর আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, মানসিক স্বাস্থ্যের বেলায় আমাদের মনোভাবের একটা মারাত্মক সমস্যা আছে। প্রথমত আমরা এটি বুঝিই না। আর কারও মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন আছে, এটা শুনলেই সে পাগল কিনা সেটা ভাবি। কেউ শারিরীকভাবে অসুস্থ হলে যেমন চিকিৎসা দরকার, তেমনি মানসিক অসুস্থতার জন্যও চিকিৎসা দরকার। কিন্তু সেটা আমরা ভাবি না।
শুক্রবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ১৫ তম মনোবিজ্ঞান সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।সচেতনতা বাড়াতে মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকরা যেন শিক্ষার্থীদের মানসিক সমস্যা চিহ্নিত করতে পারেন, তার জন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্তত দু’জন করে কাউন্সিলিং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নিশ্চিত করা হবে।
ডা. দীপু মনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। ২০০৯ সালের দিকে তিনি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন করে ‘স্কুল সাইকোলজিস্ট’ নিয়োগের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা এখনই সে পর্যায়ে যেতে পারছি না। তাই প্রতিটি জেলায় অন্তত একজন করে বিশেষজ্ঞ স্কুল-সাইকলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হবে। এজন্যে পদ সৃজনের কাজ চলমান রয়েছে।
‘মানবকল্যাণে মনোবিজ্ঞান’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মনোবিজ্ঞান বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মনোবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এম শামসুদ্দিন ইলিয়াস,সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. এম রওশন আলি, পিরোজপুর বিএসএমআরইউ এন্ড টি এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুল্লাহ এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান।