১৬ দলের অধিনায়কদের দুই ভাগে ভাগ করে আনা হলো মেলবোর্নের রিজেন্ট থিয়েটার প্লাজার বলরুমে। দ্বিতীয় ভাগে ভারতের রোহিত শর্মা, পাকিস্তানের বাবর আজমসহ যে আট অধিনায়ক এলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন সাকিব আল হাসানও। বাংলাদেশ অধিনায়ক ছিলেন যেন অনেকটা না থাকার মতো করেই। কারণ দ্বিতীয় ভাগের সংবাদ সম্মেলন স্থায়ী হলো প্রায় ২৬ মিনিটের মতো।
কিন্তু তাঁর কাছে যে ছুটে গেল না একটি প্রশ্নও। অগত্যা উপায় না দেখে অনুষ্ঠানের সঞ্চালকই একটি প্রশ্ন করলেন তাঁকে। এবারই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী সব দলের অধিনায়কদের একই মঞ্চে জড়ো করেছিল আইসিসি। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনের পাশাপাশি ছিল ফটোসেশনও। অন্য অধিনায়কদের সঙ্গে সেই সময়টি তারিয়ে তারিয়েই উপভোগ করার কথা সাকিবের। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনের অংশটি খুব একটা প্রীতিকর ছিল না তাঁর জন্য। অথচ এই আয়োজনে যোগ দেওয়ার জন্য এক দিন আগেই নিউজিল্যান্ড ছেড়েছিলেন তিনি। ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে বাংলাদেশ দলকে ক্রাইস্টচার্চে রেখে শুক্রবারই মেলবোর্নে চলে আসেন তিনি। আর বাংলাদেশ দল সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়ায় তাদের প্রথম গন্তব্য ব্রিসবেনে পৌঁছায় গতকাল। মেলবোর্ন থেকে গতকালই গিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা সাকিবেরও।
নিউজিল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য ছিল বিশ্বকাপের প্রস্তুতিমূলক আসর। সব ম্যাচ হারলেও প্রতিপক্ষভেদে নিজেদের কম্বিনেশন ঠিক করতে পারার স্বস্তি নিয়ে তারা নিউজিল্যান্ড ছেড়েছে। অস্ট্রেলিয়ায়ও বাকি আছে প্রস্তুতির কিছুটা। ব্রিসবেনে ১৭ ও ১৯ অক্টোবর আছে বিশ্বকাপের অফিশিয়াল দুটি ওয়ার্ম আপ ম্যাচ, প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
এরপর মূল পর্বেও দক্ষিণ আফ্রিকা আছে বাংলাদেশের গ্রুপ টু-তে। ২৭ অক্টোবর সেই ম্যাচটি হবে সিডনিতে। অবশ্য এর আগেই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হয়ে যাবে বাংলাদেশের। ২৪ অক্টোবর হোবার্টে সুপার টুয়েলভ পর্বে তাদের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ এখনো অজানা। আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে ‘এ’ গ্রুপের রানার্স আপ দলকে সেদিন সামনে পাবেন সাকিবরা। এই গ্রুপে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আছে নামিবিয়া, নেদারল্যান্ডস ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ৩০ অক্টোবর তৃতীয় ম্যাচ খেলার জন্য আবার ব্রিসবেনে ফিরতে হবে বাংলাদেশকে। প্রথম পর্বে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলকে সামনে পাবে তারা। দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে এই গ্রুপে আছে জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড। বাংলাদেশের শেষ দুটি ম্যাচ অ্যাডিলেডে। ২ ও ৬ নভেম্বর সেই দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ ভারত ও পাকিস্তান। বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হতে না হতেই দলের আর সবার মতো নতুন অভিজ্ঞতা হবে সাকিবেরও। কারণ তিনিও তো এবারই প্রথম অস্ট্রেলিয়ায় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে চলেছেন। এর আগে সেখানে কুড়ি-বিশের ম্যাচ অবশ্য খেলেছেন, তবে সেগুলো ছিল অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসর বিগ ব্যাশে। নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে বলছিলেন, ‘আমাদের দলটি রোমাঞ্চকর। বেশির ভাগই নতুন খেলোয়াড়। এটি তাদের জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা হবে। আমরা সবাই প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলব।