পাবনার ভাঙ্গুড়ায় শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মারধরের ঘটনায় বিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ভেড়ামারা উদয়ন একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিরাপত্তার দাবিতে বিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সূত্র জানায়, তিন দিন আগে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র সজিবের সঙ্গে নবম শ্রেণীর পারভেজের কথা কাটাকাটি হয়। বুধবার সকাল ১১টার দিকে সজিব কলম কিনতে ভেড়ামারা বাজারে গেলে পারভেজ ও তার স্বজনরা তাকে মারধর করে। বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানালে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়। দুপুরে ভেড়ামারা গ্রামের পারভেজ, গোলাম ফারুক, আকাশ, রনি, মাইনুল, বাবুসহ ১৫ থেকে ২০ জন প্রথমে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে এবং পরে টেনেহিঁচড়ে স্কুলের সামনে নিয়ে সজিবকে মারধর করে। শিক্ষকরা ঠেকাতে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়।এতে তিন ছাত্র ও দুই শিক্ষক আহত হন। হামলার নেতৃত্ব দেওয়া গোলাম ফারুক স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামের ছেলে। রনি স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি টুকু আহমেদের ভাতিজা।
শিক্ষক শামীম আহমেদ বলেন, থানার ওসিকে বারবার ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি। পরে ৯৯৯ এ ফোন দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ইউনিয়নের বিট অফিসার এসআই তাহেরকে ফোন দেওয়া হয়। প্রায় পৌনে ১ ঘণ্টা পর পুলিশ এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেদায়েতুল হক জানান, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। বহিরাগতদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।ভাঙ্গুড়া থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের ফোন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।