সন্তান জন্মের মাত্র দুই দিন আগে টের পেয়েছিলেন যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা। একটি ঘটনায় ২২ বছর বয়সী এক তরুণী জানিয়েছেন, পেটে তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে ঘুম ভেঙেছিল তার।
ভেবেছিলেন ঋতুস্রাবের ব্যথা। মায়ের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথার ওষুধও খান। কিন্তু পরক্ষণেই ওই তরুণী জানতে পারেন তার পেটে সন্তান। এর ঘণ্টাখানেক পর বাড়ির শৌচালয়ে সুস্থ সন্তানের জন্ম দেন তরুণী।দুটি ঘটনাই বিস্ময় জাগিয়েছে গোটা বিশ্বে। অন্তঃসত্ত্বা হয়েও মাসের পর মাস বুঝলেন না দুজন তরুণী!
চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমন ঘটনা বিরল হলেও অবাস্তব নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এটাকে বলে ‘ক্রিপ্টিক প্রেগন্যান্সি’।গর্ভাবস্থা ঘিরে রহস্যময়তার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন সন্তান ধারণ করার কিছু দিন পর থেকেই সাধারণত যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়, এ ক্ষেত্রে তেমনটা হয় না। আবার কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, কয়েক মাস ঋতু বন্ধ থাকার পরও অনেকে বুঝতেই পারেননি।
পলিসিস্টিক ওভারি বা জরায়ুতে টিউমার থাকলে অনেক সময়েই ঋতুস্রাব নিয়মিত হয় না। তাই সন্তানধারণের পর ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ায় তা আর আলাদা করে বুঝতে পারেননি তিনি। এমন সব ক্ষেত্রে ভুল হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।এ ক্ষেত্রে সন্তানধারণের পরও কি চেহারায় কোনো পরিবর্তন হয় না? গর্ভে থাকা ভ্রূণের আকার এবং আয়তনে পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মায়ের উদরও স্ফীত হতে শুরু করে। সেটিই স্বাভাবিক। কিন্তু স্থূল চেহারার মায়েদের বাইরে থেকে দেখলে বোঝা মুশকিল।
গবেষণায় দেখা গেছে, ‘ক্রিপ্টিক প্রেগন্যান্সি’র ক্ষেত্রে ভ্রূণের কোনো অস্তিত্বই মায়েরা টের পাননি। বিশেষ করে যাদের মা হওয়ার পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই, তারা একেবারেই আন্দাজ করতে পারেননি।‘ক্রিপ্টিক প্রেগন্যান্সি’ কোনও জটিলতা সৃষ্টি করে কি? এমন পরিস্থিতি গর্ভস্থ ভ্রূণ এবং মা, দুজনের জন্যই বিপজ্জনক হতে পারে। সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মায়েদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়। খাওয়াদাওয়া থেকে জীবনযাপন, সবকিছুতেই আমূল পরিবর্তন আনতে হয়।
