মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় ছাবিনা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে স্বামী বিদ্যুত হোসেন আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার ২৬ অক্টোবর ভোরে উপজেলার হুদাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এক মাস আগে কুমারীডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে ছাবিনা খাতুনের সঙ্গে কুঞ্জনগর হুদাপাড়া গ্রামের দিনমজুর বিদ্যুত হোসেনের বিয়ে যায়। এটি ছাবিনার দ্বিতীয় আর বিদ্যুতের তৃতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকে ছাবিনা-বিদ্যুতের মাঝে কলহ চলছিল। এর জের ধরে বুধবার ভোরে দুজনের মাঝে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে স্ত্রীর মাথায় ভারি বস্তু দিয়ে আঘাত করেন বিদ্যুত। এর ফলে ছাবিনার মৃত্যু হয়। পরে বাড়ির পাশের বাগানের একটি গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন বিদ্যুত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। সকালে সাবিনার মরদেহ উদ্ধারের পর বিদ্যুতের সন্ধান করছিল পুলিশ। দুপুরে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী বিদ্যুত আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।