একদল রোহিঙ্গাকে সংগ্রহ করে নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রাম শহরে। এ নগরীর ঠিকানা ব্যবহার করে সিটি করপোরেশন থেকে তাঁদের জন্মসনদের ব্যবস্থা করা হয়। পরে তা দিয়ে করা হয় জাতীয় পরিচয়পত্র। বিনিময়ে দালালচক্র জনপ্রতি পায় সোয়া লাখ টাকারও বেশি।
ই চক্রে জড়িত নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মী ও কক্সবাজারের কয়েকজন দালাল। নির্বাচন কমিশনের চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচির সুযোগে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র করিয়ে দেওয়ার এই চক্রের সন্ধান পেয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার নগরের হালিশহর আবাসিক এলাকার বি-ব্লকে হালিশহর হাউজিং এস্টেট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলছিল। কক্সবাজার থেকে দুইজন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক ভোটার হতে আসার খবর গোপন সূত্রে পায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা নাগরিক কামাল ও পারভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, শামসুর রহমান ও নুরুল আবছার তাঁদের ভোটার করার জন্য হালিশহর নিয়ে আসেন। পরে নগরের বহদ্দারহাট এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ ও মোবাইলে থাকা তথ্য যাচাই-বাছাই করে পাঁচজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে আটক করা হয়। কামাল নামে এক সিএনজি অটোরিকশা চালক তাঁদের হালিশহরে নিয়ে যান। তাঁকেও আটক করা হয়।