বৈদেশিক মুদ্রার সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যেই আইএমএফ থেকে ঋণ পাওয়ার আশা করছে সরকার। এ বিষয়ে আলোচনা করতে আইএমএফ প্রতিনিধি দল ১৫ দিনের বাংলাদেশ সফরে রয়েছে। ২৭ অক্টোবর তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। সংস্থাটির কাছ থেকে ঋণ পেতে কোনো সমস্যা হবে না।
তবে আইএমএফের কাছে চাওয়া সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা কবে নাগাদ পাওয়া যাবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। মোট তিন কিস্তিতে আসবে এ ঋণ। এটা পেতে আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত লেগে যেতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আইএমএফের প্রতিনিধি দলের ঋণ দেওয়ার শর্তাদি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এ ঋণ কত তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে তা নির্ভর করছে সংস্থাটির সফররত প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের ওপর। তবে ঋণ পাওয়ার বিষয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত হতে পারে এবং ডিসেম্বরের প্রথম দিকে ঋণের প্রথম কিস্তি ছাড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ট্রাস্টের (আরএসটি) অধীনে ঋণ আবেদনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে আইএমএফ দল এখন ঢাকায়। তাদের সঙ্গে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দফায় দফায় আলোচনা চলছে। আরও কয়েক দফা এ আলোচনা চলতে পারে। এরপর তাদের (প্রতিনিধিদল) প্রতিবেদন আইএমএফ বোর্ডে জমা দেওয়া হবে। প্রতিবেদনের পরই ঋণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আইএমএফ। যদিও ঋণের প্রথম কিস্তি কবে পাওয়া যাবে সেটি এখনো নিদিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে ধরা হচ্ছে।
যদিও দেশের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আইএমএফের শর্ত মেনে নিলে ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া সম্ভব। তবে সে ঋণ পরের বছরের শুরুতে অর্থাৎ আগামী জানুয়ারিতে মিলতে পারে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, সফররত প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদন আইএমএফ বোর্ডে জমা দেওয়া হবে। প্রতিবেদনের পরই ঋণ পাওয়া যাবে।