গতকাল দৈনিক সচেতন বার্তায় “ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ বাংলাদেশি” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
শুক্রবার মধ্যরাতের পর লাউডন স্ট্রিটের কাছে ওই দুর্ঘটনায় নিহত দুই বাংলাদেশি হলেন কাজী মুহাম্মদ মঈনুল আলম (৩৬) ও ফারহানা ইসলাম তানিয়া (২৮)। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার পারভেজ আরসালান কলকাতার নামি রেস্তোরাঁ আরসালান-এর মালিকের ছেলে। দুর্ঘটনার সময় তিনিই চালকের আসনে ছিলেন বলে তদন্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
নিহত মঈনুল গ্রামীণফোনের রিটেইল সাপোর্ট ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে। আর তানিয়া সিটি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার, ব্যাংকটির ধানমণ্ডি শাখায় কর্মরত ছিলেন। তিনি থাকতেন ঢাকার মোহাম্মদপুরে।
এ ঘটনায় কাজী মো. শফী রহমত উল্লাহ নামে মঈনুলের এক চাচাত ভাই আহত হয়েছেন। তার আঘাত ততো গুরুতর নয় বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ী। ছবিঃ সংগৃহীত।দুর্ঘটনার বিষয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবারা রাত ২টার দিকে একটি জাগুয়ার তীব্র গতিতে শেক্সপিয়র সরণি ধরে বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের দিক থেকে কলামন্দিরের দিকে যাচ্ছিল। লাউডন স্ট্রিটের কাছে সেটি একটি মার্সিডিজকে সজোরে ধাক্কা মেরে রাস্তার পাশে ট্রাফিক পুলিশের একটি পোস্টে ঢুকে পড়ে।
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট পড়ে আসা পারভেজ কলকাতার কেন্দ্রস্থলের পার্ক সার্কাস মোড়ের রেস্তোরাঁ ‘আরসালান’র মালিকানা পেয়েছেন পৈত্রিক সূত্রে। তাকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ী। ছবিঃ সংগৃহীত।হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, রাতে কলকাতায় বেপরোয়া গাড়ি চালানো নগর কর্তৃপক্ষের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ১৫ অগাস্ট রাতে বেপরোয়া গাড়ি নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার গলফ গার্ডেনের দেওয়ালে ধাক্কা মারার পর বিজেপি এমপি রুপা গাঙ্গুলির ছেলে আকাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।