নিখোঁজের তিন দিন পর গতকাল সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েটের শিক্ষার্থী ফারদিন নূরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের পর তার বাবা বলেন, যে ভয়ে বুয়েটের হলে থাকতে দেইনি, আমার ছেলের সেটাই হলো। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, আমার ছেলের পাসপোর্ট হয়েছে আগামী এক মাসের মধ্যে স্পেনে একটা ডিবেট কমপিটিশনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে গেল।
মঙ্গলবার ফারদিনের বাবা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ফারদিনের বাবা আরও বলেন, আমার ছেলে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল না। এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে। শুক্রবার দুপুরে বুয়েটের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর আর যোগাযোগ হয়নি, এরপর রাত ১১টার পর থেকে তার লমোবাইল বন্ধ পাই।
বুয়েটের শিক্ষার্থী ফারদিন নূরের মরদেহ উদ্ধারের পর এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। গত ৪ নভেম্বর রাতে নিখোঁজ হওয়ার আগে রামপুরা এলাকায় তিনি তার এক বান্ধবীকে বাসায় যাওয়ার জন্য নামিয়ে দেন। এরপর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয় বুয়েটের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মরদেহ