শনিবার বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশকে সামনে রেখে চার জেলায় ধর্মঘট শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকেউ ঢাকাসহ মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি। সিলেটে শনিবার থেকে ধর্মঘট ডাকা হলেও অন্য চার জেলায় আজ শুক্রবার থেকে চলছে। আজ কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। অপর দিকে কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড থেকে সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যেও কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। এমনকি মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ থেকেও কোনো বাস সিলেটের উদ্দেশ্যে যায়নি।
সিলেটের সঙ্গে কার্যত সারাদেশের সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় বিকল্প পথে সিলেটের সমাবেশে আসছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়ারা, দিরাই, শাল্লা ও জামালগঞ্জ থেকে নৌকাযোগে যাত্রা শুরু করেছেন শতশত নেতাকর্মী। বৃহস্পতিবারও অনেকে নৌকাযোগে সিলেট পৌঁছেন। সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি, দলের কেন্দ্রীয় নেতা কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন জানিয়েছেন, প্রথমে ছাতক-দোয়ারা থেকে বাসযোগে নেতাকর্মী সমাবেশে যোগদানের কথা ছিল। এখন নৌপথে তারা আসছেন। শুক্রবার নগরীতে বিচ্ছিন্নভাবে মিছিল করে সমাবেশস্থলে যোগ দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। এদিকে দূরপাল্লার কোনো বাস চলাচল না করায় যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে।
শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, কিছু যাত্রী গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সিলেট থেকে অনেক যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াত করেন বিভাগের হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে। হবিগঞ্জ এক্সপ্রেসের কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেল, সেটি বন্ধ রয়েছে। আব্দুল হক নামের এক যাত্রী চিকিৎসার জন্য সিলেটে এসেছিলেন দাবি করে জানান, কীভাবে এখন হবিগঞ্জ পৌঁছবেন সেই চিন্তায় রয়েছেন তিনি। বাস টার্মিনালের বিভিন্ন বাসের কাউন্টারও বন্ধ পাওয়া যায়। সিলেট বিভাগের যাত্রী ছাড়াও ঢাকাগামী যাত্রীরাও আটকা পড়েছেন। কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডের অবস্থাও একই। সুনাগঞ্জের উদ্দেশ্যেও কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। মাঝেমধ্যে কিছু আন্তউপজেলা বাস ও লেগুনা, সিএনজি অটোরিকশা যাত্রী বহনের চেষ্টা করছে। সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ জানিয়েছেন, বিভিন্ন জেলায় ধর্মঘট হওয়ায় সিলেট থেকে আন্তজেলা ও দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে না।পরিবহন বন্ধের আগাম ঘোষণা থাকায় যাত্রীর সংখ্যা কম এবং ভোগান্তিও কম হচ্ছে বলে জানান তিনি।