গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সোমবার রাতে পৌর কাউন্সিলরের বাড়িসহ পৃথক দুটি স্থানে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। লুট করা হয়েছে বিভিন্ন মালামাল। এ সময় এক ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। গ্রেফতারকৃত হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলার বড়ইবাড়ী মজুদপাড়া এলাকার তোতা মিয়ার ছেলে জহির মিয়া।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাশেমের বাড়িতে সোমবার রাতে চুরির ঘটনা ঘটে। ওই কাউন্সিলরের একটি নির্মাণাধীন ভবনে রাতের কোনো এক সময় চোর চক্র গেইট ও ঘরের দুটি তালা কেটে ভিতরে প্রবেশ করে। লুট করা হয়েছে রড কাটার মেশিন, গ্রান্ডিং মেশিন, রংয়ের মেশিন, রড, তারসহ বিভিন্ন মালামাল। ভুক্তভোগী কাউন্সিলর আবুল কাশেম চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক রকিবুল হোসেন জানান, ওই ঘটনায় থানায় এখনো অভিযোগ হয়নি।
অপরদিকে সোমবার সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর বাসস্টেশন থেকে জহির মিয়া ও অপর এক নারী ছিনতাইকারী যাত্রী ভেসে ইমন হোসেনের অটোরিকশা ভাড়া নেয়। পরে তারা ওই অটোরিকশা চালককে উপজেলার মাথালিয়া যেতে বলেন। যাওয়ার পথে রাত ৯টার দিকে বলিয়াদি-গোসাত্রা আঞ্চলিক সড়কের মাথালিয়া এলাকায় পৌছলে তারা অটোরিকশা থামাতে বলে। এ সময় তাদের হাতে থাকা ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং অটোরিকশা, টাকা, মোবাইল ছিনতাইয়ের পর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে তার ডাকচিৎকারে আশাপাশের লোকজন ছুটে এলে নারী ছিনতাইকারী পালিয়ে গেলেও ছিনতাইকারী জহিরকে আটক করে এলাকাবাসী। এরপর ওই ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এসময় ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করা গেলেও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়নি। এ ঘটনায় পরের দিন মঙ্গলবার সকালে অটোরিকশা চালক ইমন হোসেন বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে গ্রেপ্তারকৃত ছিনতাইকারী জহিরকে গাজীপুর জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।