fbpx
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
বাড়িআন্তর্জাতিকবেসরকারিভাবে জ্বালানি আনার চিন্তা

বেসরকারিভাবে জ্বালানি আনার চিন্তা

বেসরকারিভাবে জ্বালানি আমদানির সুযোগ করে দিতে চায় সরকার। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জ্বালানি বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট জ্বালানিসংকট নিরসনের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।এ ছাড়া বিশেষ পরিস্থিতিতে জ্বালানির মূল্য সরকার নিজেই নির্ধারণ করতে পারবে।এসংক্রান্ত আইনের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, বেসরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠান যেকোনো ধরনের জ্বালানি আমদানি করতে পারবে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কয়েক দিনের মধ্যে। এরপর বেসরকারি খাত জ্বালানি আমদানি করতে পারবে। সরকার তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জ্বালানি বিভাগকে নির্দেশনাও দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন  অধ্যাদেশ, ২০২২-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় মন্ত্রিসভার সদস্যরা এ বিষয়ে আলোচনা করেন বলেও জানান তিনি।

পরিশোধিত তেলের বিষয়ে মন্ত্রিসভায় দুটি বিকল্প নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, ‘তারা বিপিসির কাছে বিক্রি করে দিতে পারে বা বিপিসি তাদের অন্য কোনো ব্যবস্থা কিংবা আইন সংশোধন করে বিক্রির অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিএসটিআইকে তদারকিতে রাখতে হবে, যেটা পরিশোধিত হবে সেটা আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য কি না। ’

বসুন্ধরার বিটুমিনের মতো পরিকল্পনা করতে হবে : মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আপনি যখন বেসরকারি খাতকে জ্বালানি রিফাইন করতে দেবেন, তখন তাদের রিফাইনারি করতে হবে। যেমন বসুন্ধরা একটা ইন্ডাস্ট্রি করেছে বিটুমিনের। বিটুমিন তো রিফাইন না করলে হবে না। তারা কিন্তু পরিকল্পনা করে নিয়েছে। যারা মার্কেটিংয়ের জন্য ফুয়েলসহ অন্যান্য এনার্জি আমদানি করবে, তাদের রিফাইনারি করে নিতে হবে। ’

জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ করবে সরকার : মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, সংশোধিত আইনের ফলে শুনানি ছাড়াই সরকার যেকোনো সময় জ্বালানির মূল্য সমন্বয় করতে পারবে। তিনি বলেন, বিদ্যমান অধ্যাদেশ অনুযায়ী বিইআরসিকে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে ৯০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। হঠাৎ বিশেষ প্রয়োজন দেখা দিলে জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ করতে দেরি হয়। সে কারণে নতুন একটি ধারা যুক্ত করা হচ্ছে। অধ্যাদেশের ৩৪-এর ‘ক’ যুক্ত করে বলা হবে, সরকার প্রয়োজনবোধে জ্বালানির দাম সমন্বয় করতে পারবে। এ বিষয়ে যাতে কোনো বিভ্রান্তি তৈরি না হয়, সে জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে স্বাভাবিকভাবে দাম সমন্বয়ের কাজ বিইআরসি কমিশনই করবে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments