ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে আগামী তিন মাস ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। পদ্মা রেলসংযোগ প্রকল্পের কাজের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে। বর্তমানে এ পথে ৮ জোড়া ট্রেন চলাচল করে।
ব্যবসা, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ নানা কাজে নারায়ণগঞ্জের মানুষ ঢাকায় আসেন। তবে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের একটা বড় অংশ অফিসগামী যাত্রী। ঢাকা থেকে অফিস করে তারা নারায়ণগঞ্জে ফিরে যান। এ ছাড়া বাসের বিকল্প হিসেবে নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেনের চাহিদা ব্যাপক।
পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে গেন্ডারিয়া অংশে ৩টি পৃথক রেললাইনের নির্মাণকাজ চলমান। রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী জানান, পদ্মা রেলসেতু প্রকল্পের আওতায় গেন্ডারিয়া পর্যন্ত অংশে নির্মাণকাজ দ্রুত ও নিরাপদের স্বার্থে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।
আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ৩০ জুনের পর থেকে ওই রুটে ভাঙ্গা পর্যন্ত যেন ট্রেন চলতে পারে, সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। ঢাকা থেকে গেন্ডারিয়ার মধ্যে দুটি নতুন ডুয়েলগেজ লাইন নির্মাণ এবং বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর করা হবে। কিন্তু গেন্ডারিয়া থেকে কমলাপুর পর্যন্ত প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি তুলনামূলক কম। ইউটিলিটি শিফটিং এবং ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সেকশনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্রেন পরিচালনা সম্ভব নয় বলে কাজের অগ্রগতি কম। তাই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সেকশনে ট্রেন বন্ধ রাখতে অনুরোধ করেছে ঠিকাদার। এর অংশ হিসেবে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ করে দ্রুত কাজটি শেষ করতে চায় তারা। পদ্মা রেলসংযোগ প্রকল্পের অগ্রগতি সভায় কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানেও বিষয়টি উঠে আসে। সব মিলিয়ে সাময়িকভাবে ট্রেন বন্ধ রাখার ব্যাপারে একমত হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।