fbpx
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
বাড়িআন্তর্জাতিকইরান "নীতি পুলিশ" বিলুপ্ত করছে কী!

ইরান “নীতি পুলিশ” বিলুপ্ত করছে কী!

ইরানে দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা বিক্ষোভের মুখে দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ জাফর মনতাজেরি বলেছেন, ইরানে নারীদের মাথা ও চুল ঢেকে রাখার যে আইন প্রচলিত রয়েছে, তা পরিবর্তনের জন্য যৌথভাবে কাজ করছে বিচার বিভাগ ও পার্লামেন্ট। নৈতিক পুলিশ বিলুপ্ত হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে নৈতিক পুলিশ বিলুপ্ত হচ্ছে এমন খবর নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, নৈতিক পুলিশ বিচার বিভাগের অধীনে নয়, সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখভাল করে। সুতরাং বিচার বিভাগ নৈতিক পুলিশ বাতিলের যথাযথ কর্তৃপক্ষ নয়।

ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় গত ১৬ সেপ্টেম্বরে মৃত্যু হয়েছিল ২২ বছরের কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির। যথাযথভাবে হিজাব না পরায় মাসাকে আটক করেছিল নীতি পুলিশ। মাসার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে তুমুল বিক্ষোভ। দাবি ওঠে হিজাব আইন বদলে ফেলার।

অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিক্ষোভের মুখে হিজাব আইন নিয়ে পিছু হটার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিল ইরান। তবে এই আইনে ঠিক কী ধরনের পরিবর্তন আনা হতে পারে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। অ্যাটর্নি জেনারেল মনতাজেরি আরও জানান, গত বুধবার ইরানি পার্লামেন্টের সাংস্কৃতিক কমিশনের সঙ্গে দেখা করেছেন দুই বিভাগের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। এ সময় হিজাব আইনে সম্ভাব্য পরিবর্তনের বিষয়ে তাদের মধ্যে বিস্তারিত কথা হয়েছে।

ইরানের ‘নীতি পুলিশ’ এর কাজ হলো ইরানের কঠোর পোশাকবিধি অমান্যকারী ব্যক্তিদের আটক করে ব্যবস্থা নেওয়া। নীতি পুলিশ ইরানের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংযুক্ত, যা ২০০৬ সালে কাজ শুরু করে। ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের ঠিক করা ইসলামি নীতিনৈতিকতা মানুষ মানছে কি না, তা তারা নিশ্চিত করে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments