fbpx
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
বাড়িজাতীয়অপরাধমা ও বোন জামাইয়ের পরকীয়া দেখে ফেলায় ছেলেকে হত্যার চেষ্টা

মা ও বোন জামাইয়ের পরকীয়া দেখে ফেলায় ছেলেকে হত্যার চেষ্টা

বুধবার নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার রানীপুরা এলাকার রূপগঞ্জে মা ও বোন জামাইয়ের পরকীয়ার সম্পর্ক দেখে ফেলায় আপন মা তার ছেলে সাদিকুল ইসলামকে আপেলের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মা নূর জাহান ও বোন জামাই আব্দুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গ্রেফতারকৃত নূরজাহান উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার রানীপুরা এলাকার আতিকুর রহমানের স্ত্রী ও বোন জামাই আব্দুল্লাহ গাইবান্ধা জেলার সদর থানার ভেরাডাঙ্গা এলাকার ভবেশ বর্মনের ছেলে। 

ভোলাবো ফাড়ির ইনচার্জ (এসআই) শফিক আহম্মেদ জানান, আব্দুল্লাহ আগে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন। তার নাম ছিল সঞ্জয় বর্মণ। তিনি রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপ-শহরের বানিজ্য মেলার নির্মাণ কাজের শ্রমিক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। পরে নূরজাহান বেগমের সঙ্গে সঞ্জয় বর্মণের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে নূরজাহান বেগম তাকে হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করান। তার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় আব্দুল্লাহ। পরে ওই সম্পর্ক আরো জোরালো করতে নূরজাহান বেগম তার মেয়ে খাদিজা আক্তারকে আব্দুল্লাহর সঙ্গে বিয়ে দেন।

নূরজাহান বেগমের স্বামীর আতিকুর রহমান একজন চা দোকানী। আতিকুর রহমানের অনুপস্থিতিতে নূরজাহান বেগম ও আব্দুল্লাহা বিভিন্ন সময় শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতো। তাদের এ পরকীয়া সম্পর্ক স্বামী আতিকুর রহমানও টের পেয়ে যায়। গত মঙ্গলবার মধ্য রাতে ছেলে সাদিকুল ইসলাম তার মা নূরজাহান বেগম ও বোন জামাই আব্দুল্লাহর অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক দেখে ফেলে। এর জেরে মা নূরজাহান বেগম ও বোন জামাই আব্দুল্লাহ সাদিকুল ইসলামকে আপেলের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। সেই বিষ মিশ্রিত আপেল খেয়ে সাদিকুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে স্থানীয় সূফী দায়েমউদ্দিন হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান।

পরে সাদিকুল ইসলামকে বিষ খাইয়ের হত্যার চেষ্টার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চিকিৎসক। ছেলে সাদিকুল ইসলাম কিছুটা সুস্থ হলে তার জবানবন্দিতে মা নূরজাহান বেগম ও বোন জামাই আব্দুল্লাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নূরজাহান বেগম ও আব্দুল্লাহ পরকীয়ার সম্পর্ক ও ছেলে সাদিকুল ইসলামকে হত্যার চেষ্টার কথা স্বীকার করেন।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments