কাতার বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছিল পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে। বিশ্বকাপ চলাকালীন তার ক্লাব ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে বিচ্ছেদও হয়েছে।
এ বার মরক্কোর কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে পর্তুগালকে বিশ্বকাপ জেতানোর স্বপ্নও ভেঙে গেল রোনালদোর। অশ্রুসিক্ত নয়নে বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ করলেন সিআর সেভেন।
মরক্কোর কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপ অধ্যায়ে ইতি টেনেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আফ্রিকান দেশটির কাছে হারার পর রোনাল্ডোর দু’চোখে অঝোর ধারায় কান্না ভেসে আসছিল। চলতি বিশ্বকাপের নক আউটে এবং কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে প্রথম একাদশে ছিলেন না রোনালদো। দুই ম্যাচেই তিনি দ্বিতীয়ার্ধে ৭৩ ও ৫১ মিনিটে মাঠে নামেন।
গত ১৪ বছরে এবারই প্রথম রোনালদো কোনও বড় টুর্নামেন্টে পর্তুগালের শুরুর একাদশে ছিলেন না, তার জায়গায় সুযোগ পেয়ে গনসালো রামোস হ্যাটট্রিক করে বসেন। হুট করেই ফুটবলের অন্যতম বড় তারকা হয়ে গেলেন কেবলই একজন বদলি ফুটবলার।
যেসব হেডে রোনালদো গোল করতে ভালোবাসেন, তিনি এমন সুযোগও পেয়েছিলেন মরক্কোর বিপক্ষে। ম্যাচের ৯৭তম মিনিটে রোনালদোর মাথার ওপর দিয়ে বল চলে যায়, সতীর্থ পেপের মাথায় বল লেগে গোলবারের পাশ ঘেঁষে চলে যায় বল।
রোনালদো হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন, মনে হচ্ছিল তিনি ততক্ষণে বুঝে গেছেন, সময় ফুরিয়ে গেছে। শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথে রোনালদো প্রতিপক্ষ দুই ফুটবলারের সাথে হাত মেলান। সোজা মাঠ ছাড়ার জন্য হাঁটা দেন। সাথে একজন ক্যামেরাম্যান। যিনি হয়তো এই মহাতারকার বিশ্বকাপের মঞ্চে শেষ কিছু মুহূর্ত ধরে রাখছিলেন। একজন ভক্ত নিরাপত্তা বেষ্টনী ডিঙ্গিয়ে রোনালদো পর্যন্ত আসার চেষ্টা করেছিলেন, পারেননি।