ফিলিস্তিনের গাজায় এবার স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ইসরাইলের পদাতিক বাহিনী ও ট্যাঙ্ক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে বলে জানায় দেশটির সেনাবাহিনী। হামাস যোদ্ধাদের ‘নির্মূল’ করাই এই অভিযানের মূল লক্ষ্য।
দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবার ইসরায়েলের সেনাদের পদাতিক বাহিনী ও ট্যাঙ্ক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে। একে প্রতিশোধ অভিযানের শুরু বলছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসকে নির্মূলে গাজায় টানা এক সপ্তাহ ধরে ভারী বোমাবর্ষণের পর এই প্রথম স্থল অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।
গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাংশের ১১ লাখ বাসিন্দাকে সরে যেতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় ইসরায়েল। সেই সঙ্গে সীমান্তে ট্যাংকের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক সৈন্য সমাবেশ করা হচ্ছিল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, আগামী দিনগুলোতে তারা গাজা শহরে ‘উল্লেখযোগ্য’ অভিযান চালাবে। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বেসামরিক নাগরিকরা ফিরে আসতে পারবেন না।
ইসরায়েলের এ ঘোষণার পর গাজা শহর ছাড়তে দেখা যায় অনেক বাসিন্দাকে। তবে হামাস তাদের যার যার বাড়িতে থাকার আহ্বান জানায়।
এদিকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের ওই নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। না হলে ভয়ঙ্কর মানবিক সঙ্কট তৈরি হবে বলেও সতর্ক করা হয়।
কিন্তু ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়াল অ্যাডমিরাল দানিয়েল হাগারি পরে বলেন, তাদের পদাতিক বাহিনী ট্যাংকের সহায়তা নিয়ে গাজার ভেতরে অভিযান চালিয়েছে। ফিলিস্তিনি রকেট হামলাকারীদের ‘নির্মূল’ করার পাশাপাশি হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের অবস্থান জানার চেষ্টা করছে তারা।