মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে আবারো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। ফিলিস্তিন টেলিকম কোম্পানি ‘প্যালটেল’ এই তথ্য জানিয়েছে।
কোম্পানিটি জানায়, গাজার মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা আবারো সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক রুটগুলোয় আবারো সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় নতুন করে এই বিপর্যয় ঘটেছে।
এর আগে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী স্থলঅভিযান শুরুর সময় একইভাবে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।
স্থগিত অভিযানের আগে গাজায় যেন কোনোভাবেই ইন্টারনেট, মুঠোফোন নেটওয়ার্কের সংযোগ না থাকে, তা নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল। ফলে অমানবিক আগ্রাসনের নির্যাতনে দিন কাটানো ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনিরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারেননি। রবিবার আংশিক সংযোগ ফেরার আগে ৩৪ ঘণ্টা গাজাবাসীরা তাদের নিত্য ট্রাজেডিগুলো সম্পর্কে জানাতে পারেননি। বহির্বিশ্ব সেখানকার নৃশংস ঘটনার বিষয়ে ছিল অন্ধকারে।
মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ আংশিক পুনর্বহালের দুদিনের মাথায় আবারো একই ঘটনা ঘটলো এই উপত্যকায়।
উল্লেখ্য, জনবহুল আর বসতিপূর্ণ সরু এক চিলতে ভূখণ্ড গাজা উপত্যকা। এরমধ্যে উপর্যুপরি বোমাবর্ষণ, চারদিকে ধবংসস্তূপ। বোমায় নির্বিচারে প্রাণ হারিয়েছে সাড়ে আট হাজারেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। ধ্বংসস্তূপের নিপে চাপা পড়ে আছে বহু সংখ্যক লাশ। অবরুদ্ধ উপত্যকায় নেই খাদ্য, পানি বা বিদ্যুৎ। এত ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। বিভৎস, নিরুপায় এক বাস্তবতার মুখোমুখি গাজার প্রায় ২৩ লাখ বাসিন্দা। সূত্র: আল জাজিরা