বাংলাদেশে প্রকল্প তৈরি ও অর্থায়নে বিশ্বব্যাংক প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমাদের যত অর্থের প্রয়োজন হোক না কেন, বিশ্বব্যাংক তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়নের ক্ষেত্রে আর কোনো লুকোচুরি থাকবে না বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরে বাংলানগরে অর্থমন্ত্রীর নিজ কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ-ভূটান) মার্সি মিয়াঙ টেমবনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
নতুন আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করবে সংস্থাটি। বাংলাদেশের বিষয়ে সংস্থাটির ইতিবাচক ধারণা হয়েছে। আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্থাটি অর্থায়ন করতে উন্মুখ।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের সম্ভাবনাময় খাতগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য বিশ্বব্যাংকের পরমর্শ নেব। আমাদের ৮৮ শতাংশ ব্লু-ইকোনোমিকে কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। এখাতে কাজ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। ডেল্টা প্ল্যান প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে নেদারল্যান্ডসের পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকও এগিয়ে আসবে। এ খাতে অর্থ ও প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা দেবে। ফলে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে। ডেল্টাপ্ল্যানে যদি ভারতও আসতে চায়, তবে স্বাগত জানাব।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ-ভুটান) মার্সি টেম্বন বলেন, ‘আমি বাংলাদেশকে নিজেই চিনে নিয়েছি। সুন্দরবন ছাড়া বাংলাদেশের সব স্থানে ঘুরেছি। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত সুবিধাসহ আর্থিক বিষয়ে ব্যাপক উন্নত হয়েছে। তিনি বলেন, নদী, পানি ও ব্লু ইকোনমিতে বাংলাদেশকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। মূলত আমি বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে ব্র্যান্ডিং করতে এসেছি। ব্লু-ইকোনমির ৮৮ শতাংশ কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরাও উপস্থিত ছিলেন।