fbpx
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
বাড়িজাতীয়আইন আদালতবিএনপির সমাবেশে পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

বিএনপির সমাবেশে পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনে সংঘর্ষের সময় পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হক পারভেজকে হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রেপ্তার আসামির নাম জানায়নি পুলিশ।

সোমবার (৬ নভেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।

  • তিনি বলেন, পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হক পারভেজকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান।
  • এর আগে, গত শুক্রবার এ মামলায় সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি আনসার উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।
  • ঘটনার দিন ২৮ অক্টোবর রাতেই পল্টন থানায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর বিভাগের এসআই মাসুক মিয়া।

পরদিন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী যুবদলের আহ্বায়ক শামীম রেজা ওরফে শিন্টা শামীম ও সুলতান নামের আরেক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে নেয় পল্টন থানা পুলিশ।

এছাড়া মামলায় বরগুনা সদরের পুরিরখাল এলাকার শহিদুল্লাহ মুসুল্লী নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩১ অক্টোবর তাকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

  • মামলার এজাহারে বলা হয়, বিএনপির মহাসমাবেশের দিন (২৮ অক্টোবর) পল্টন থানার কালভার্ট রোডের পূর্বপ্রান্তে বাদীসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বরত ছিলেন। দুপুর পৌনে ৩টার দিকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী তাদের ওপর হামলা করেন। এ সময় ইটপাটকেলের আঘাতে এডিসি (ডিবি-ওয়ারী জোন) ইলিয়াছ হোসেন, কনস্টেবল আমিরুল হকসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

সেসময় আমিরুল হক আত্মরক্ষার্থে ডিআর টাওয়ারে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে রাস্তার ওপর ফেলে এলোপাতাড়ি ইট, লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। তাতে আমিরুল গুরুতর আহত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকেন।

  • তখন পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। আমিরুলকে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি অনেককে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভী, নিপুণ রায়, আমিনুল হক, হাবিবুন নবী খান, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, এস এম জিলানী, শামসুজ্জামান দুদু, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, তাবিথ আউয়াল, রফিকুল ইসলাম মাহাতাব, ইকবাল হোসেন শ্যামল, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক, রাশেদ ইকবাল খান, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আরও অনেক নেতাকর্মী। এদের মধ্যে অনেককে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments